ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত Logo ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা Logo শুধু ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত: প্রধান উপদেষ্টা Logo অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি Logo গণঅভ্যুত্থানে আহতদের শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সব ধ্বংস করে দিয়েছে-আহমেদ আলী মুকিব Logo যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে’র যাত্রা শুরু Logo নবীগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা র‍্যালী অনুষ্ঠিত Logo মানুষমাত্রই উদ্যোক্তা, তারা শ্রমিক না: প্রধান উপদেষ্টা Logo নিহত-আহতদের সহযোগিতা পেতে চিকিৎসকদের সত্যায়িত কপি লাগবে: সারজিস

মুন্সিগঞ্জে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ৬১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

মুন্সিগঞ্জে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী, সাবেক ৪ জন সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬১৩ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

৪ আগস্ট শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নুর মোহাম্মদ সর্দার (১৯) নামের এক দিনমজুর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ৮টার দিকে তাঁর নানি শেফালী বেগম বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ৩১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.আমিনুল ইসলাম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সুপার মার্কেট এলাকার কৃষি ব্যাংকসংলগ্ন স্থানে ছাত্র–জনতার শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন চলছিল।

ওই সময় সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল,মৃণালকান্তি দাস,সাগুফতা ইয়াসমিন,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মহিউদ্দিনের যৌথ নির্দেশে অস্ত্র, ককটেল, ছুরি, রামদা নিয়ে মামলার অন্যান্ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রজনতার ওপর হামলা করে। হামলায় ছাত্র-জনতা এদিক সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

সে সময় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম,পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মস্তোফা,তার ভাই গোলাম কিবরিয়া সহ ১২ জন গুলি চালায়। মামলার ১৮ নম্বর আসামি শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন নুর মোহাম্মদকে লক্ষ করে বুকে গুলি করে।

মামলার অন্য আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে,বুকে উঠে লাফিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সে সময় কয়েক শতাধিক ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে,ককটেল বিষ্ফোরণ করে,পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে সেই জায়গা ছাড়ে তাঁরা।

পরবর্তী সময়ে নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ছাড়া ওই দিন সংঘর্ষে রিয়াজুল ফরাজী ও মো. সজল মোল্লাসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

ওসি আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বাদীর দেওয়া এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। এ মামলার সব আসামি পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
৩৪ বার পড়া হয়েছে

মুন্সিগঞ্জে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ৬১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আপডেট সময় ০৮:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

মুন্সিগঞ্জে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী, সাবেক ৪ জন সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬১৩ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

৪ আগস্ট শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নুর মোহাম্মদ সর্দার (১৯) নামের এক দিনমজুর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ৮টার দিকে তাঁর নানি শেফালী বেগম বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ৩১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.আমিনুল ইসলাম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সুপার মার্কেট এলাকার কৃষি ব্যাংকসংলগ্ন স্থানে ছাত্র–জনতার শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন চলছিল।

ওই সময় সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল,মৃণালকান্তি দাস,সাগুফতা ইয়াসমিন,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মহিউদ্দিনের যৌথ নির্দেশে অস্ত্র, ককটেল, ছুরি, রামদা নিয়ে মামলার অন্যান্ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রজনতার ওপর হামলা করে। হামলায় ছাত্র-জনতা এদিক সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

সে সময় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম,পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মস্তোফা,তার ভাই গোলাম কিবরিয়া সহ ১২ জন গুলি চালায়। মামলার ১৮ নম্বর আসামি শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন নুর মোহাম্মদকে লক্ষ করে বুকে গুলি করে।

মামলার অন্য আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে,বুকে উঠে লাফিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সে সময় কয়েক শতাধিক ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে,ককটেল বিষ্ফোরণ করে,পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে সেই জায়গা ছাড়ে তাঁরা।

পরবর্তী সময়ে নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ছাড়া ওই দিন সংঘর্ষে রিয়াজুল ফরাজী ও মো. সজল মোল্লাসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

ওসি আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বাদীর দেওয়া এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। এ মামলার সব আসামি পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।