দেহ ও ত্বকের কোষের ক্ষতিরোধ এবং বুড়িয়ে যাওয়া রোধে এক অপ্রতিরোদ্ধ হাতিয়ার ভিটামিন ‘সি’। এ ছাড়াও টিস্যুর গঠন ও ক্ষতস্থানের আরোগ্য লাভেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ পুষ্টি উপাদান।

ভিটামিন ‘সি’ এক প্রকার অ্যাস্করবিক অ্যাসিড, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে আমাদের শরীেরে কাজ করে।শরীরের ভিটামিন সি’র অভাব দেখা দিলে ওজন কমে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা এবং স্কার্ভি রোগ হতে পারে। এ ছাড়াও হতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্য। তাই সুস্থ্য থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি’র চাহিদা মেটাতে হবে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে পরিমিত ভিটামিন ‘সি’।
কমলা, লেবু, মাল্টা, পেয়ারাসহ টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। ফল ছাড়াও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ বেশকিছু খাবার রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। আসুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-

কাঁচা মরিচ: কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বেটা-ক্যারোটিন। এটি চোখ, ত্বক ও রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। তাই ভিটামিন ‘সি’-এর ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন দুই বেলা খাবারের পাতে রাখুন কাঁচা মরিচ।

লাল মরিচ: ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লাল মরিচ। আধা কাপ লাল মরিচে রয়েছে ১০৭ দশমিক ৮ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’। পেশীর ব্যাথা নিরাময় ও হারের সংযোগ স্বাভাবিক রাখতে এর জুড়ি নেই।

আনারস: ভিটামিন ‘সি’তে ভরপুর ফল আনারস। এককাপ আনারসে রয়েছে ৭৯ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’। তাছাড়া এটি ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়ামের ভালো উৎস।

স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরির স্বাস্থ্য উপকারিতা ব্যাপক। ভিনদেশী এই ফলে ভিটামিন সি’র পাশাপাশি রয়েছে ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা পুষ্টি উপাদান।

ব্রকলি: সবুজ সবজি ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, মিনারেল এবং খনিজ। প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে ৮৯.২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। কাজেই ভিটামিন ‘সি’ এর অভাব পূরণে প্রতিদিন ব্রকলি খাওয়া যেতে পারে।

পেঁপে: পেঁপেতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। প্রতিদিন মাত্র একটি পেঁপে খেলেই শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ হয়।

কিউয়ি: কিউয়িতে ভিটামিন সি’র পরিমাণ কমলার থেকেও বেশি। এতে আরও রয়েছে ফ্লেভোনয়েড এবং পটাসিয়াম।

আম: ১০০ গ্রাম আমে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন ‘সি’, বেটা ক্যারোটিন ও বিভিন্ন রকমের মিনারেল যা স্বাস্থ্যকর দেহের জন্য আবশ্যক।

ভিটামিন ‘সি’ পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় তা অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলেও দেহের কোনো ক্ষতি সৃষ্টি করে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।