ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

যে গাছ ঘরে রাখা উপকারী

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ঘরের ভেতরের গাছপালা কেবল ঘরের নান্দনিক আকর্ষণই বাড়ায় না, বরং বাতাসের মান উন্নত করে, মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখে। কিছু গাছ নিয়মিত সালোকসংশ্লেষণের বাইরেও কাজ করে এবং রাতেও অক্সিজেন নির্গত করে, যা তাদের শয়নকক্ষ এবং থাকার জায়গার জন্য আদর্শ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি গাছের সন্ধান ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়-

১. অ্যারেকা পাম (ডাইপসিস লুটেসেন্স)

অ্যারেকা পাম, যা প্রজাপতি পাম নামেও পরিচিত। এটি একটি শক্তিশালী বায়ু-বিশুদ্ধকারী উদ্ভিদ যা দিন এবং রাত জুড়ে অক্সিজেন নির্গত করে। এই উদ্ভিদ ঘরের ভেতরের বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড, জাইলিন এবং টলুইনের মতো বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অত্যন্ত দক্ষ। এমনটাই বলা হয়েছে নাসার ক্লিন এয়ার স্টাডিতে। অ্যারেকা পাম একটি প্রাকৃতিক হিউমিডিফায়ার হিসেবে কাজ করে, যা হাঁপানি এবং সাইনোসাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

২০১৫ সালে জার্নাল অফ ফিজিওলজিক্যাল অ্যানথ্রোপলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যারেকা পামের মতো ঘরের ভেতরের গাছপালার সংস্পর্শে মানসিক চাপ কমায় এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, যা এটি কর্মক্ষেত্র এবং বাড়িতে একটি দুর্দান্ত সংযোজন করে তোলে।

২. স্নেক প্ল্যান্ট (সানসেভিরিয়া ট্রাইফ্যাসিটা)

স্নেক প্ল্যান্ট একটি অনন্য ইনডোর প্ল্যান্ট যা ক্র্যাসুলেসিয়ান অ্যাসিড মেটাবলিজম (CAM) সালোকসংশ্লেষণ করে, যা রাতে অক্সিজেন মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি ঘুমানোর সময় বাতাসের গুণমান উন্নত করতে পারে। নাসার ক্লিন এয়ার স্টাডি স্নেক প্ল্যান্টকে বেনজিন, ফর্মালডিহাইড এবং ট্রাইক্লোরোইথিলিনের মতো ক্ষতিকারক দূষণকারী পদার্থের কার্যকর অপসারণকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

৩. তুলসী (ওসিমাম টেনুইফ্লোরাম)

তুলসী তার ঔষধি গুণাবলীর জন্য ব্যাপকভাবে সমাদৃত। সারাক্ষণ অক্সিজেন মুক্ত করার পাশাপাশি তুলসী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল যৌগে সমৃদ্ধ যা বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে।

এভিডেন্স-বেসড কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তুলসীর অ্যাডাপটোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরকে চাপ এবং উদ্বেগ মোকাবেলায় সাহায্য করে। তুলসী গাছ ঘরের ভেতরে রাখলে মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় থাকে।

৪. অ্যালোভেরা (অ্যালো বার্বাডেনসিস মিলার)

অ্যালোভেরা ত্বক নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, তবে এটি ঘরের ভেতরের বাতাসের মান উন্নত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রসালো গাছটি ক্রমাগত অক্সিজেন নির্গত করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড, ফর্মালডিহাইড এবং বেনজিন শোষণ করে, যা এটিকে একটি প্রাকৃতিক বায়ু পরিশোধক করে তোলে।

বিএমসিতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরা কেবল বাতাসের মান উন্নত করে না বরং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও ধারণ করে যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অ্যালোভেরা ঘরের ভেতরে আর্দ্রতার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে, শুষ্ক ত্বক এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি হ্রাস করে।

৫. পিস লিলি (স্প্যাথিফাইলাম)

পিস লিলি একটি জনপ্রিয় ইনডোর প্লান্ট যা রাতেও বাতাসকে বিশুদ্ধ করার এবং অক্সিজেন মুক্ত করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এটি অ্যামোনিয়া, বেনজিন এবং ফর্মালডিহাইডের মতো বায়ুবাহিত বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে, একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ তৈরি করে।

নাসার ক্লিন এয়ার স্টাডি অনুসারে, পিস লিলি আবদ্ধ স্থানে বায়ুর মান উন্নত করার জন্য সেরা উদ্ভিদের মধ্যে একটি। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি (২০২১) এর গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, পিস লিলির মতো ইনডোর প্লান্ট চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১২৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

যে গাছ ঘরে রাখা উপকারী

আপডেট সময় ০৯:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঘরের ভেতরের গাছপালা কেবল ঘরের নান্দনিক আকর্ষণই বাড়ায় না, বরং বাতাসের মান উন্নত করে, মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ তৈরিতে অবদান রাখে। কিছু গাছ নিয়মিত সালোকসংশ্লেষণের বাইরেও কাজ করে এবং রাতেও অক্সিজেন নির্গত করে, যা তাদের শয়নকক্ষ এবং থাকার জায়গার জন্য আদর্শ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি গাছের সন্ধান ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়-

১. অ্যারেকা পাম (ডাইপসিস লুটেসেন্স)

অ্যারেকা পাম, যা প্রজাপতি পাম নামেও পরিচিত। এটি একটি শক্তিশালী বায়ু-বিশুদ্ধকারী উদ্ভিদ যা দিন এবং রাত জুড়ে অক্সিজেন নির্গত করে। এই উদ্ভিদ ঘরের ভেতরের বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড, জাইলিন এবং টলুইনের মতো বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অত্যন্ত দক্ষ। এমনটাই বলা হয়েছে নাসার ক্লিন এয়ার স্টাডিতে। অ্যারেকা পাম একটি প্রাকৃতিক হিউমিডিফায়ার হিসেবে কাজ করে, যা হাঁপানি এবং সাইনোসাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

২০১৫ সালে জার্নাল অফ ফিজিওলজিক্যাল অ্যানথ্রোপলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যারেকা পামের মতো ঘরের ভেতরের গাছপালার সংস্পর্শে মানসিক চাপ কমায় এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, যা এটি কর্মক্ষেত্র এবং বাড়িতে একটি দুর্দান্ত সংযোজন করে তোলে।

২. স্নেক প্ল্যান্ট (সানসেভিরিয়া ট্রাইফ্যাসিটা)

স্নেক প্ল্যান্ট একটি অনন্য ইনডোর প্ল্যান্ট যা ক্র্যাসুলেসিয়ান অ্যাসিড মেটাবলিজম (CAM) সালোকসংশ্লেষণ করে, যা রাতে অক্সিজেন মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি ঘুমানোর সময় বাতাসের গুণমান উন্নত করতে পারে। নাসার ক্লিন এয়ার স্টাডি স্নেক প্ল্যান্টকে বেনজিন, ফর্মালডিহাইড এবং ট্রাইক্লোরোইথিলিনের মতো ক্ষতিকারক দূষণকারী পদার্থের কার্যকর অপসারণকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

৩. তুলসী (ওসিমাম টেনুইফ্লোরাম)

তুলসী তার ঔষধি গুণাবলীর জন্য ব্যাপকভাবে সমাদৃত। সারাক্ষণ অক্সিজেন মুক্ত করার পাশাপাশি তুলসী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল যৌগে সমৃদ্ধ যা বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে।

এভিডেন্স-বেসড কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তুলসীর অ্যাডাপটোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরকে চাপ এবং উদ্বেগ মোকাবেলায় সাহায্য করে। তুলসী গাছ ঘরের ভেতরে রাখলে মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় থাকে।

৪. অ্যালোভেরা (অ্যালো বার্বাডেনসিস মিলার)

অ্যালোভেরা ত্বক নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত, তবে এটি ঘরের ভেতরের বাতাসের মান উন্নত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রসালো গাছটি ক্রমাগত অক্সিজেন নির্গত করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড, ফর্মালডিহাইড এবং বেনজিন শোষণ করে, যা এটিকে একটি প্রাকৃতিক বায়ু পরিশোধক করে তোলে।

বিএমসিতে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরা কেবল বাতাসের মান উন্নত করে না বরং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও ধারণ করে যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অ্যালোভেরা ঘরের ভেতরে আর্দ্রতার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে, শুষ্ক ত্বক এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি হ্রাস করে।

৫. পিস লিলি (স্প্যাথিফাইলাম)

পিস লিলি একটি জনপ্রিয় ইনডোর প্লান্ট যা রাতেও বাতাসকে বিশুদ্ধ করার এবং অক্সিজেন মুক্ত করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এটি অ্যামোনিয়া, বেনজিন এবং ফর্মালডিহাইডের মতো বায়ুবাহিত বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে, একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ তৈরি করে।

নাসার ক্লিন এয়ার স্টাডি অনুসারে, পিস লিলি আবদ্ধ স্থানে বায়ুর মান উন্নত করার জন্য সেরা উদ্ভিদের মধ্যে একটি। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি (২০২১) এর গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, পিস লিলির মতো ইনডোর প্লান্ট চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।