ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত Logo ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা Logo শুধু ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত: প্রধান উপদেষ্টা Logo অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি Logo গণঅভ্যুত্থানে আহতদের শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সব ধ্বংস করে দিয়েছে-আহমেদ আলী মুকিব Logo যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে’র যাত্রা শুরু Logo নবীগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা র‍্যালী অনুষ্ঠিত Logo মানুষমাত্রই উদ্যোক্তা, তারা শ্রমিক না: প্রধান উপদেষ্টা Logo নিহত-আহতদের সহযোগিতা পেতে চিকিৎসকদের সত্যায়িত কপি লাগবে: সারজিস

সেতু পরে ভাঙলো সাঁকো, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে বড়াল নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু এক বছর আগে ধ্বসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের লাখো মানুষ। গাড়ী-ঘোড়া চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে পায়ে হেটে পারাপারের জন্য তৈরী হয় কাঠের সাঁকো। এবার চরম বৃষ্টিতে সেটিও ধ্বসে পড়েছে। এবার দুটি বাঁশ ধুলিয়ে পাড় হচ্ছে ওই এলাকার মানুষ। সেতু ধ্বসের বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তা নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজের প্রভাষক শফিউল হাসান তিতু বলেন, উপজেলার পৌর এলাকার লক্ষীকোল-কয়েন আঞ্চলিক সড়কের চক-বড়াইগ্রাম এলাকায় বড়াল নদীর ওপরের সেতুটি প্রায় এক বরছ আগে ধ্বসে পরে। বন্ধ হয়ে যায় এই সেতু দিয়ে নগর ইউনিয়নের ও পৌর এলাকার লাখো মানুষের চলাচল করে।

বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন নিজ উদ্যোগে কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরী করে দেন। কিন্তু গতকাল বড়াল নদীতে বৃষ্টির পানিতে ¯্রঅেতের সৃষ্টি হলে সেটিও ধ্বসে পরে। ফলে আবারও যাতায়াত বন্ধ হয়ে ডায়। বিপাকে পরে মানুষ।

আক্তার হোসেন বলেন, এই সেতু ধ্বসের ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, থানা, পৌর সেবা গ্রহন করতে মানুষকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। বড়াইগ্রাম পাইলট, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না।

বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন বলেন, মানুষের পায়ে চলাচল করার জন্য আবারও সেতুটি সংস্কার করার প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) জানানো হয়েছে।এলজিইডি বড়াইগ্রামের প্রকৌশলী রবিউল আলম বলেন, সেতুটি নির্মানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমার স্পেশাল বরাদ্দ থেকে সেতুটি নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এই সেতুটি বড়ালনদীর উপরে নির্মাণ করতে হবে। কিছুটা জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সাথে কথা হয়েছে। এটি নির্মানে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায় হবে। যেন বড়াল নদী খননের সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
৪৩ বার পড়া হয়েছে

সেতু পরে ভাঙলো সাঁকো, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

আপডেট সময় ০৮:০৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রামে বড়াল নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু এক বছর আগে ধ্বসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১০ গ্রামের লাখো মানুষ। গাড়ী-ঘোড়া চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে পায়ে হেটে পারাপারের জন্য তৈরী হয় কাঠের সাঁকো। এবার চরম বৃষ্টিতে সেটিও ধ্বসে পড়েছে। এবার দুটি বাঁশ ধুলিয়ে পাড় হচ্ছে ওই এলাকার মানুষ। সেতু ধ্বসের বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তা নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

বড়াইগ্রাম সরকারি কলেজের প্রভাষক শফিউল হাসান তিতু বলেন, উপজেলার পৌর এলাকার লক্ষীকোল-কয়েন আঞ্চলিক সড়কের চক-বড়াইগ্রাম এলাকায় বড়াল নদীর ওপরের সেতুটি প্রায় এক বরছ আগে ধ্বসে পরে। বন্ধ হয়ে যায় এই সেতু দিয়ে নগর ইউনিয়নের ও পৌর এলাকার লাখো মানুষের চলাচল করে।

বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন নিজ উদ্যোগে কাঠ দিয়ে একটি সাঁকো তৈরী করে দেন। কিন্তু গতকাল বড়াল নদীতে বৃষ্টির পানিতে ¯্রঅেতের সৃষ্টি হলে সেটিও ধ্বসে পরে। ফলে আবারও যাতায়াত বন্ধ হয়ে ডায়। বিপাকে পরে মানুষ।

আক্তার হোসেন বলেন, এই সেতু ধ্বসের ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, থানা, পৌর সেবা গ্রহন করতে মানুষকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। বড়াইগ্রাম পাইলট, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারছে না।

বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন বলেন, মানুষের পায়ে চলাচল করার জন্য আবারও সেতুটি সংস্কার করার প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) জানানো হয়েছে।এলজিইডি বড়াইগ্রামের প্রকৌশলী রবিউল আলম বলেন, সেতুটি নির্মানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমার স্পেশাল বরাদ্দ থেকে সেতুটি নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এই সেতুটি বড়ালনদীর উপরে নির্মাণ করতে হবে। কিছুটা জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সাথে কথা হয়েছে। এটি নির্মানে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যায় হবে। যেন বড়াল নদী খননের সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না হয়।