ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ইসির নতুন নীতিমালা Logo নির্বাচনের আগে গণভোট অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক: মির্জা ফখরুল Logo হবিগঞ্জ-১: বিএনপিতে প্রার্থী জট, মনোনয়ন দৌড়ে প্রবাসীরাও Logo ৫২৩ বছরের ঐতিহ্য শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর জামে মসজিদ Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন

ইফতারের সময় যে আমলটা খুবই জরুরি

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের অনেক মূল্য রয়েছে ইসলামে। বিশেষ করে দোয়া করা, ইফতারে বিলম্ব না করা এবং অন্যকে সঙ্গে নিয়ে ইফতার করা অনেক বরকতপূর্ণ আমল।

জাবির (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দেন। আর প্রতিরাতেই তা সংঘটিত হয়ে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬৪৩)

ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেন, ‘যখন রাত সেদিক থেকে ঘনিয়ে আসে এবং দিন এদিক থেকে ওদিক চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায় তখন রোজার ইফতার করবে।’ (বুখারি: ১৮৩০)

হাদিসের আলোকে এখানে ইফতারের সময়ের সুন্নত আমলগুলো তুলে ধরা হলো।
ইফতারির সময়টাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো দোয়া করা। এই সময়ে দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া রদ হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, সাওম পালনকারী—যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা এই শ্রেণির মর্যাদা এ মেঘমালার ওপর রাখবেন এবং তাদের জন্য আসমানের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আর আল্লাহ বলবেন, আমার ইজ্জতের কসম! একটু পরে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব। (তিরমিজি: ৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ: ১৭৫২)

ইফতারের আগমুহূর্তে যেকোনো দোয়া করা যায়। হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পাঠ করা উত্তম। ওই সময় এই ছোট্ট দোয়া পাঠ করা যায়—‘ইয়া ওয়াসিআল মাগফিরাহ ইগফিরলি।’ (শুয়াবুল ঈমান: ৩৬২০)

ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করতে হয়। বিনা কারণে বিলম্ব করা সুন্নতের পরিপন্থী। সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘লোকেরা যত দিন ওয়াক্ত হওয়া মাত্র ইফতার করবে তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (বুখারি: ১৮৩৩; মুসলিম: ২৪২৫) যথাসময়ে ইফতারকারী ব্যক্তি আল্লাহর প্রিয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমার কাছে প্রিয়তম বান্দা সে যে অবিলম্বে ইফতার করে। (তিরমিজি: ৭০০)

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
১২৪ বার পড়া হয়েছে

ইফতারের সময় যে আমলটা খুবই জরুরি

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের অনেক মূল্য রয়েছে ইসলামে। বিশেষ করে দোয়া করা, ইফতারে বিলম্ব না করা এবং অন্যকে সঙ্গে নিয়ে ইফতার করা অনেক বরকতপূর্ণ আমল।

জাবির (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দেন। আর প্রতিরাতেই তা সংঘটিত হয়ে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ: ১৬৪৩)

ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেন, ‘যখন রাত সেদিক থেকে ঘনিয়ে আসে এবং দিন এদিক থেকে ওদিক চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায় তখন রোজার ইফতার করবে।’ (বুখারি: ১৮৩০)

হাদিসের আলোকে এখানে ইফতারের সময়ের সুন্নত আমলগুলো তুলে ধরা হলো।
ইফতারির সময়টাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো দোয়া করা। এই সময়ে দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া রদ হয় না। ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, সাওম পালনকারী—যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা এই শ্রেণির মর্যাদা এ মেঘমালার ওপর রাখবেন এবং তাদের জন্য আসমানের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আর আল্লাহ বলবেন, আমার ইজ্জতের কসম! একটু পরে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব। (তিরমিজি: ৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ: ১৭৫২)

ইফতারের আগমুহূর্তে যেকোনো দোয়া করা যায়। হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পাঠ করা উত্তম। ওই সময় এই ছোট্ট দোয়া পাঠ করা যায়—‘ইয়া ওয়াসিআল মাগফিরাহ ইগফিরলি।’ (শুয়াবুল ঈমান: ৩৬২০)

ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করতে হয়। বিনা কারণে বিলম্ব করা সুন্নতের পরিপন্থী। সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘লোকেরা যত দিন ওয়াক্ত হওয়া মাত্র ইফতার করবে তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (বুখারি: ১৮৩৩; মুসলিম: ২৪২৫) যথাসময়ে ইফতারকারী ব্যক্তি আল্লাহর প্রিয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমার কাছে প্রিয়তম বান্দা সে যে অবিলম্বে ইফতার করে। (তিরমিজি: ৭০০)