ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলে গেলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের নায়ক শিলাচি

স্পোর্টস ডেস্ক

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠলেন না ইতালিয়ান ফুটবল গ্রেট সালভাতোরে শিলাচি। ৫৯ বছর বয়সে মারা গেলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বলজয়ী এই তারকা। ২০২২ সাল থেকে কোলোন ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। পালেরমো হাসপাতালে চলছিল শিলাচির চিকিৎসা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই হাসপাতাল থেকেই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।

১৯৯০ বিশ্বকাপ দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন শিলাচি। সেবার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে তৃতীয় হয়ে আসর করে ইতালি। কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন ‘তোতো’ নামে পরিচিত এই ফুটবলার।

ঘরের মাঠের ওই আসরে সাত ম্যাচে ৬ গোলের পাশাপাশি করেন একটি অ্যাসিস্ট। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতে নেন শিলাচি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি গোল্ডেন বলও ওঠে তার হাতে। এরপরও জাতীয় দলে দীর্ঘ হয়নি তার ক্যারিয়ার। ইতালির জার্সিতে সব মিলিয়ে কেবল ১৬ ম্যাচ খেলেন এই ফুটবলার। ৭ গোলের সঙ্গে করেন একটি অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেন তিনি ১৯৯১ সালে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে।

অপরদিকে ক্লাব ক্যারিয়ার অবশ্য বেশ সমৃদ্ধ শিলাচির। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে চারটি ক্লাবের হয়ে খেলা শিল্লাচি মাঠে নামেন সর্বমোট ৩৮৪ ম্যাচে। ১৫৯ গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেন ১৯টি। সিরিআ তে ১৩২ ম্যাচ খেলেছেন ইউভেন্তাসের হয়েই। ক্যারিয়ারে দুটি উয়েফা কাপ (বর্তমান উয়েফা ইউরোপা লিগ) জিতেছেন এ অ্যাথলেট।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩ বার পড়া হয়েছে

চলে গেলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের নায়ক শিলাচি

আপডেট সময় ০৭:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠলেন না ইতালিয়ান ফুটবল গ্রেট সালভাতোরে শিলাচি। ৫৯ বছর বয়সে মারা গেলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বলজয়ী এই তারকা। ২০২২ সাল থেকে কোলোন ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। পালেরমো হাসপাতালে চলছিল শিলাচির চিকিৎসা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই হাসপাতাল থেকেই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।

১৯৯০ বিশ্বকাপ দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন শিলাচি। সেবার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে তৃতীয় হয়ে আসর করে ইতালি। কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন ‘তোতো’ নামে পরিচিত এই ফুটবলার।

ঘরের মাঠের ওই আসরে সাত ম্যাচে ৬ গোলের পাশাপাশি করেন একটি অ্যাসিস্ট। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতে নেন শিলাচি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি গোল্ডেন বলও ওঠে তার হাতে। এরপরও জাতীয় দলে দীর্ঘ হয়নি তার ক্যারিয়ার। ইতালির জার্সিতে সব মিলিয়ে কেবল ১৬ ম্যাচ খেলেন এই ফুটবলার। ৭ গোলের সঙ্গে করেন একটি অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেন তিনি ১৯৯১ সালে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে।

অপরদিকে ক্লাব ক্যারিয়ার অবশ্য বেশ সমৃদ্ধ শিলাচির। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে চারটি ক্লাবের হয়ে খেলা শিল্লাচি মাঠে নামেন সর্বমোট ৩৮৪ ম্যাচে। ১৫৯ গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেন ১৯টি। সিরিআ তে ১৩২ ম্যাচ খেলেছেন ইউভেন্তাসের হয়েই। ক্যারিয়ারে দুটি উয়েফা কাপ (বর্তমান উয়েফা ইউরোপা লিগ) জিতেছেন এ অ্যাথলেট।