শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

চুনারুঘাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম কম ॥ কৃষকের মুখে নেই হাঁসি

চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ সীমান্ত উপজেলা চুনারুঘাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষক। এ কারণে দু’ফা ঋনের ফাঁদে পড়তে হচ্ছে কৃষককে। চলতি বোরো মওসুমে চুনারুঘাটে সাড়ে ৬ শ’ টাকা প্রতি মন ধান বিক্রি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কৃষকের মাথায় হাত পরেছে। চলতি মওসুমে ১১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে চুনারুঘাট উপজেলায়।
কৃষক সাজল মিয়া বলেন, এক ক্ষের (৪২ শতক) জমিতে পানি সেচ, বীজ, হাল-চাষ, কীটনাশক, শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। সেই জমিতে এবার সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ২০ মন ধানের ফলন হয়েছে। সে হিসেবে এক ক্ষের জমিতে ১৩ হাজার টাকার ধান বিক্রয় করতে পারবেন তিনি।
বর্গাচাষী সুরুজ মিয়া বলেন, তিনি অন্যের জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। শ্রমিক হিসেবে সাথে ছিলেন তার ৩ সন্তান। এরপরও তার খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। তিনি বলেন, এ থেকে মহাজনকে দিতে হবে ৬ মন ধান। বাকি ১২ মন ধান বিক্রয় করে তিনি পাবেন বড়জোড় সাড়ে ৭ হাজার টাকা।
কৃষক বেলাল বলেন, প্রতি ক্ষের জমিতে বোরো ধান করতে গিয়ে তাকে ৫ হাজার টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে এবার। তিনি ভবিষ্যতে আর বোরো ধানের চাষ করবেন না বলে জানান।
কৃষক আপন মিয়া বলেন, এখনও পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়নি। আকাশে মেঘের খেলা। অগ্যতা শীলাবৃষ্টি বা কাল বৈশাখী হলে আম ছালা দুটোই যাবে কৃষকের। বোরো ধান আদৌ ঘরে তোলতে পারবেন কিনা সেই টেনশনে কাটছে তার দিন রাত।
চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুল ইসলাম বলেন, চুনারুঘাটে চলতি মওসুমে ১১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে ২৮ ও ২৯ জাতের বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার পরীক্ষামূলক ৩৩ শতকের ১০টি প্লটে “বঙ্গবন্ধু-১০০” জাতের ধান চাষ হয়েছে। এতে ভাল ফলন হয়েছে। আগামীতে ব্রি- ২৮ ধানের পরিবর্তে ব্রি-২৯ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান চাষে উৎসাহিত করা হবে কৃষককে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ২৮ ধানের ৫/৬ দিন আগে ২৯ ও বঙ্গবন্ধু ধান পেকে যায়, ফলনও বেশী হয়। এ জাতের ধানে রোগ বালাই কম হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.