ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুয়েল আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

পর পর জনপ্রিয় ২ সঙ্গীতশিল্পীকে হারালো বাংলাদেশ। কয়েকদিন আগে মারা গেলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শাফিন আহমেদ। আর আজ মারা গেলেন আরেক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আবিদুল রেজা জুয়েল। আজ শাফিনের দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা। দুই শিল্পীকে হারিয়ে কাঁদছে দেশের সঙ্গীতাঙ্গন।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ চলিয়ে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৫৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী সঙ্গীতা আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে, রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন ‘সেদিনের এক বিকেলে’-খ্যাত এই শিল্পী।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই শিল্পী ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন দেশ ও বিদেশের চিকিৎসা সহযোগিতায়। অবশেষে চলতি বছরের ২৩ জুলাই রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মাঝে ২৫ জুলাই খানিক উন্নতির খবর পাওয়া গেলেও ৩০ জুলাই সকালে ক্যানসারের কাছে হার মানলেন এই শিল্পী।

জুয়েলের এমন অকাল প্রস্থানে শোক নেমে আসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।

৯০ দশকের জমজমাট অডিও ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চমক হিসেবে ধরা দিয়েছেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করেন জুয়েল। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। এছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল।

সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তার আরও একটি বড় পরিচয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি সঞ্চালনাও করেছেন অনেক অনুষ্ঠানে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:২৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
১৯ বার পড়া হয়েছে

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুয়েল আর নেই

আপডেট সময় ০১:২৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

পর পর জনপ্রিয় ২ সঙ্গীতশিল্পীকে হারালো বাংলাদেশ। কয়েকদিন আগে মারা গেলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শাফিন আহমেদ। আর আজ মারা গেলেন আরেক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আবিদুল রেজা জুয়েল। আজ শাফিনের দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা। দুই শিল্পীকে হারিয়ে কাঁদছে দেশের সঙ্গীতাঙ্গন।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ চলিয়ে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৫৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী সঙ্গীতা আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে, রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেন ‘সেদিনের এক বিকেলে’-খ্যাত এই শিল্পী।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই শিল্পী ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন দেশ ও বিদেশের চিকিৎসা সহযোগিতায়। অবশেষে চলতি বছরের ২৩ জুলাই রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মাঝে ২৫ জুলাই খানিক উন্নতির খবর পাওয়া গেলেও ৩০ জুলাই সকালে ক্যানসারের কাছে হার মানলেন এই শিল্পী।

জুয়েলের এমন অকাল প্রস্থানে শোক নেমে আসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।

৯০ দশকের জমজমাট অডিও ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চমক হিসেবে ধরা দিয়েছেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করেন জুয়েল। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। এছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল।

সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তার আরও একটি বড় পরিচয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি সঞ্চালনাও করেছেন অনেক অনুষ্ঠানে।