টাইগারদের পরাজয়ে ভাগ্য খুললো আফগানদের, অস্ট্রেলিয়ার বিদায়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ, আফগানিস্তানও ছিল। কিন্তু সব কিছুই নির্ভর করছিল কঠিন সব সমীকরণে। আফগানদের ১১৫ রানে থামিয়ে সেই লক্ষ্য ১২.১ ওভারে টপকালে শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সাকিব-শান্তরা সেটি পারেনি।
বাংলাদেশকে সেমিতে যেতে হলে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো। সেটা তো দূরের কথা ম্যাচই জিততে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান। তাতে সুপার এইট থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এতে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে যাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে রশিদ খানের দল। আগামী ২৭ তারিখ ভোরে প্রথম সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।
মঙ্গলবার কিংস্টনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ম্যাচের মাঝে বৃষ্টি হানা দিলে ডিএলএসে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ১১৪ রানে। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ৫ বলে ১০৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই নাভিন উল হককে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই ফজল হক ফারুকিকে উইকেট দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন ফারুকি। সেখানে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। উইকেটে এসেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাভিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ বলে ৫ রান।