ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষে আহত দুই শতাধিক

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অন্তত দুইশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে তাদের অধিকাংশই আশঙ্কামুক্ত। এদের মধ্যে ১১ জনকে ভর্তি রেখেছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের কর্মচারী মো. মিজান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১১ জনকে ভর্তি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় ভর্তি ১১ জনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তবে রোগীদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয়। তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

হাসপাতালে ভর্তি ১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন- ইয়াকুব (২১), কাজী তাসনিম ফেরদৌসী (২৪), অমি (২৬), আমিনুর (২২), শুভ (২০), গিয়াস উদ্দিন (২০), নাসির (২৩), অপি (২২), মেহেদি (২২), সিয়াম (২২) ও হাসিব (২২)।

এদিকে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চত্বরে ও ভেতরেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুরো হাসপাতাল জুড়ে রোগীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা জরুরি বিভাগে বাড়তি আনসার সদস্যদের দেখা গেলেও হাসপাতালে চত্বরে কোনো অতিরিক্ত পুলিশ দেখা যায়নি। হাসপাতালে চত্বর ও আশেপাশে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাসপাতালে কয়েকজনকে ছাত্রলীগ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্দোলনকারীরা মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
৩০ বার পড়া হয়েছে

ঢাবিতে ছাত্রলীগ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষে আহত দুই শতাধিক

আপডেট সময় ০৮:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অন্তত দুইশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে তাদের অধিকাংশই আশঙ্কামুক্ত। এদের মধ্যে ১১ জনকে ভর্তি রেখেছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারের কর্মচারী মো. মিজান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১১ জনকে ভর্তি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় ভর্তি ১১ জনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। তবে রোগীদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয়। তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

হাসপাতালে ভর্তি ১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন- ইয়াকুব (২১), কাজী তাসনিম ফেরদৌসী (২৪), অমি (২৬), আমিনুর (২২), শুভ (২০), গিয়াস উদ্দিন (২০), নাসির (২৩), অপি (২২), মেহেদি (২২), সিয়াম (২২) ও হাসিব (২২)।

এদিকে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চত্বরে ও ভেতরেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুরো হাসপাতাল জুড়ে রোগীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা জরুরি বিভাগে বাড়তি আনসার সদস্যদের দেখা গেলেও হাসপাতালে চত্বরে কোনো অতিরিক্ত পুলিশ দেখা যায়নি। হাসপাতালে চত্বর ও আশেপাশে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাসপাতালে কয়েকজনকে ছাত্রলীগ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্দোলনকারীরা মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।