রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন

তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব, আহত ১০

Oplus_131072

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরে ব্যাপক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ২৫ মিনিটের ঝড় শিলাবৃষ্টিতে তছনছ হয়েছে শহরের বেশ কয়েকটি পাড়া-মহল্লা। এছাড়াও শিলার আঘাতে অন্তত ১০টি টমটম অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে গেছে। এতে চালক পথচারী ও যাত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।এরমধ্যে টমটমের গ্লাস ভেঙে আব্দুল আজিজ (৩৫) নামে এক চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত টমটমচালক আজিজ শহরতলীর বড় বহুলা গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ঝড় শুরু হলেও ৩টা থেকে শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। চলে ৩টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। মাত্র ২৫ মিনিটের ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ভেঙে যায় শহরের অনেক গাছপালা। উপড়ে যায় টিনের চালাও। তবে এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টমটম অটোরিকশার চালকরা। বড় বড় শিলার আঘাতে অন্তত ১০টি টমটম অটেরিকশার গ্লাস ভেঙে গেছে। এছাড়াও শহরসহ শহরতলীর আশপাশের ফসল ও শাকসবজি ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আহত টমটম চালক আব্দুল আজিজ জানান, আমি থানার মোড় থেকে যাত্রী নিয়ে তিনকোনা পুকুরপাড় পৌঁছামাত্র ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ি। শিলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে আমিসহ যাত্রীরা টমটম থেকে নামার সুযোগটুকুও পাননি। একপর্যায়ে বড় বড় কয়েকটি শিলা টমটমের সামনের গ্লাসে আঘাত করলে সেটি ভেঙে যায়। আর গ্লাসের টুকরো আমার পায়ে গিয়ে আঘাত করে। এতে আমি আহত হই।

তিনি আরো বলেন, একেকটি শিলার ওজন ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ গ্রাম হবে। এত বড় শিলা আমার জীবনে দেখিনি।আহত পথচারী এমরান আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। একটি শিলা আমার মাথায় পড়লে আমি আহত হই।

ব্যবসায়ী জাকারিয়া আহমেদ বলেন, এত বড় বড় শিলা আমি আগে কখনো দেখিনি। শিলার আঘাতে টিনের চালা অনেক স্থানে ছিদ্র হয়ে গেছে। অনেক পথচারী শিলা থেকে বাঁচতে আমার দোকানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ো বাতাস আর শিলার কারণে শহরের অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে।

রিকশাচালক ছালেক মিয়া জানান, শিলার তীব্রতা খুবই বেশি ছিল। শিলার সময় রিকশা রাস্তার এক পাশে রেখে আমি কোনোমতে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই।এ বিষয়ে হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলায় শিলাবৃষ্টির খবর পেয়েছি। আমার অফিসারদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে নির্দেশ দিয়েছি। জেলাজুড়ে এরমধ্যে ৭২ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.