নবীগঞ্জে সংঘর্ষের পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমনের মৃত্যু
নবীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনার ৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমন মিয়া (৪০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি নবীগঞ্জ পৌর এলাকার আনমনু গ্রামের আব্দুল আওয়ালের পুত্র।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়া তালুকদারের সঙ্গে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশাহিদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর যুবলীগ নেতা আশার পক্ষে আনমনু গ্রামের লোকজন তিমিরপুরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে পরদিন ৪ জুলাই (শুক্রবার) রাতেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই (সোমবার) দুপুরে পূর্ব তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের সঙ্গে আনমনুসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা ওই সংঘর্ষে পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের ফারুক মিয়া নিহত হন এবং উভয় পক্ষের দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ সময় নবীগঞ্জ শহরের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ অন্তত ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং ১০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আনমনু গ্রামের রিমন মিয়া। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার রাতে রিমন মিয়ার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান রিমন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় এসআই রিপন চন্দ্র বাদী ৮জন সাংবাদিকসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরটি শুক্রবার রাতে নিহত ফারুক মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে ১০ সাংবাদিক সহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।