শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন

পর্যটন শিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

ড. মোহাম্মদ আবু তাহের

“চির অপরূপ বাংলার রূপ দেখে যাও এসে বিশ্ব
জলে সমতলে সাজানো এরূপ বিধাতার আকা দৃশ্য’

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে হারিয়ে যাওয়া পর্যটন শিল্পের পুনরূদ্ধারের প্রয়োজন দেখা দেয়। বাংলাদেশের বৈচিত্র্যপূণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২৭ নভেম্বর তারিখে জারিকৃত মহামান্য রাষ্টপতির ১৪৩ নং আদেশ বলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পর্যটন সম্ভাবনাকে একটি প্রাতিষ্টানিক রূপ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন নামে একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৫ সালে বেসামরিক পর্যটন করপোরেশনকে মন্ত্রনালয়ের অধীনে নেয়া হয়। ১৯৯৯ সালে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা করা হয়। জাতীয় পর্যটন সংস্থার মূল উদ্দেশ্য
০১- বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ।
০২- পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান সমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
০৩- পর্যটন শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের দারিদ্র বিমোচনে সহায়তা করা।
০৪- পর্যটকদের সেবা প্রদানের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ
০৫- বিদেশে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরা।
বাংলাদেশ সরকারের একটি অন্যতম লক্ষ্য হলো গ্রাম হবে শহর। অথবা শহর এবং গ্রামের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের গ্রামাঞ্চলে থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলোর কারণে এলাকার উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে দেশে বেকার সমস্যা দূরীকরণে নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে। করোনাভাইরাসজনিত মহামারীর কারণে দীর্ঘ সময় ধরে থমকে ছিল বিশ্ব। বিধিনিষেধের কারণে পর্যটন খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পর্যটন খাতের পুনরুদ্ধারের বছর ২০২২। দুই বছরের জমিয়ে রাখা পরিকল্পনাগুলো ২০২২ সালেই বাস্তবায়ন করতে পারবেন ভ্রমণ পিপাসুরা। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটি) সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে এরই মধ্যে মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের পথে হাটতে শুরু করেছে, বিশ্বের পর্যটন খাত। গবেষনায় বলা হয়েছে ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের মোট অবদানের পরিমান হবে ৮ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে যা ছিল ৯ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন । ২০২০ সালের মহামারীর কারণে রীতিমত ধস নামে এ খাতে। পর্যটনে ১১০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য থাইল্যান্ডের। আন্তর্জাতিক পর্যটক প্রত্যাবর্তনের কারণে বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটিতে ৫৪৯ টি পর্যটন সর্ম্পকিত ব্যবসা নিবন্ধিত হয়েছে। ২০২০ সালে করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের পর্যটনে ও বিরুপ প্রভাব পড়েছে। ২০২০ সালে জিডিপিতে পর্যটনের অবদান প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। যে কারণে পর্যটন শিল্পে বিশেষ সহায়তা জরুরী। পর্যটন খাতে সরকারী বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পর্যটন খাতকে আকর্ষনীয় করে তুলতে বিদেশী বিনিয়োগের উপর ও জোর দিতে হবে। মালদ্বীপ একটি ছোট্র দেশ হলে ও পর্যটন শিল্প দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। মালদ্বীপের আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে ।২০১৯ সালে মালদ্বীপ সেরা পর্যটন গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় বিশ্ব পর্যটন সংস্থার নিকট থেকে। মালদ্বীপ যেভাবে তার দ্বীপগুলোকে পর্যটকদের অবস্থান ও থাকার সুবিধা দিয়ে আর্কষনীয় করেছে একইভাবে বাংলাদেশের উপকুলবর্তী দ্বীপগুলোকে সাজিয়ে পর্যটন সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। দেশের পর্যটনস্থল সহ বিভিন্ন শহর ও নগরীতে ফাইভস্টার, থ্রীস্টার হোটেল নির্মানে পর্যটন খাতে বিনিয়োগে দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিশ্ব পর্যটন খাত এখন সবচেয়ে গতিশীল খাত। বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে আরও গতিশীল করতে হবে। বাংলাদেশে নদী, সমুদ্র, হাওর টিলা, পাহাড়ী অঞ্চলসহ বিস্তির্ন এলাকা রয়েছে যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। তবে যাতায়াত, থাকার অসুবিধা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবের কারনে অনেকে এ দেশে আসতে আগ্রহী হয় না । দেশের পর্যটনস্থল গুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। সিলেটের অনেক পর্যটন স্থলে যাওয়ার জন্য যানবাহন ভাড়া কমানো দরকার।সিলেট বিভাগের উল্লেখ্যযোগ্য আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো হলো মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া রির্জাভ ফরেষ্ট, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, প্রকৃতিকন্যা জাফলং, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, লালাখাল, মিঠাপানির রাতারগুল জলাবন, টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর, জাদুকাটা নদী, শহীদ সিরাজ লেক, শ্রীপুর, তামাবিল, খাসিয়াপুঞ্জি রাজবাড়ী, শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান, ইত্যাদি।

হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত এক সমৃদ্ধ জনপদ হলো বাংলাদেশ। পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি সম্ভাবনাময় অধ্যায়ের নাম। এই শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারী বেসরকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন। পর্যটন শিল্প বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় পর্যটন শিল্প আর্থসামাজিক উন্নয়নে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে
পর্যটনে এগিয়ে চলছে মৌলভীবাজার জেলাও। মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে শতাধিক পর্যটন স্পট। মৌলভীবাজার জেলা বহু ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায় প্রতিবছর দেশী বিদেশী প্রায় ৫ লাখ পর্যটক এ জেলায় দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে আসেন। পর্যটনকে কেন্দ্র করে গত দুই দশকে জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ০৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এ জেলায় রয়েছে পাঁচ তারকা মানের গ্র্যান্ড সুলতান রির্সোট ও দুসাই রিসোর্ট, এছাড়াও ছোট বড় হোটেল ও কটেজ গড়ে ওঠেছে । বাংলাদেশের ১৬৩ টি চা বাগানের মধ্যে ৯২ টি চা বাগান রয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। বছরে প্রায় সাড়ে চার কোটি কেজি চা উৎপন্ন করে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্ত্বপুর্ন ভূমিকা রাখছে চা বাগানগুলো। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ রয়েছে এই জেলায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৮ শে অক্টোবর পাকসেনাদের একটি বাঙ্কারে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ফেরার পথে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই সীমান্তে পাক সেনাদের গুলিতে শহীদ হন বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান। পর্যটকদের আকর্ষন করার জন্য মৌলভীবাজার জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে,এখানে রয়েছে বাংলাদেশের চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই) চা জাদুঘর, মাধবপুর লেক, হরিণছড়া লেক, সাতগাও লেক, রাবার বাগান, রাজঘাট লেক, হাকালুকি হাওড়, হাইল হাওড়, খাসিয়া পানের বাগান, লাওউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, কমলা রানীর দীঘী , দেওয়ান দীঘী ইত্যাদি। এছাড়া নৃতাও্বিক জনগোষ্টির মধ্যে রয়েছে খাসিয়া, গারো, সাওতাল, হাজ্রা, ননিয়া, পবর, মাথালি, কিষাণ ইত্যাদি। মনিপুরি, খাসিয়া, সাওতাল টিপরা গারো সম্পদায়ের রয়েছে সতন্ত্র জীবনধারা ও বৈচিত্রপূর্ন জীবন। বিদ্যমান পর্যটন স্পটের সংখ্যা, আবাসন, দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার বিবেচনায় মৌলভীবাজার জেলা নিঃসন্দেহে পর্যটনের ক্ষেত্রে এক অনন্য অবস্থানে রয়েছে।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই দেশ, এজন্যই দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বলেছিলেন এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভুমি
বাংলাদেশের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। পৃথিবীতে এমন আবহাওয়ার দেশ খুজে পাওয়া কঠিন। এ দেশে সারা বছরই বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বিদ্যমান। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেখার জন্য উপভোগ করার জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন
বহুদিন দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়েছে সিন্ধু
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। সারা বছর জুড়েই মনমুগ্ধকর দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিরাজমান।
সারাদেশেই দেশীবিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মতো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে বাংলাদেশে। বৃহত্তর সিলেটের ৪ টি জেলায় রয়েছে আসাধারন পর্যটন সম্ভাবনার মনোরম জনপদ। নৈর্সগিক সৌন্দর্যের ভরপুর বৃহত্তর সিলেটের পর্যটন। সারা পৃথিবীতে সিলেটের চা বাগানের সুনাম রয়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার কয়েকটি উপজেলার বিশাল জায়গা নিয়ে সিলেটের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি। বর্ষা মৌসুমে এই হাওরকে সাগরের মতই মনে হয়। আমাদের দেশের জন্য হাওর আমাদের সংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ। আমাদের দেশের জন্য হাওর পর্যটন একটি সম্ভাবনায় খাত। এই খাতে সরকারী বেসরকারী পরিকল্পিত বিনিয়োগ হলে পর্যটনের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন করতে হলে গ্রামীন পর্যায়ের উন্নয়ন দরকার। গ্রামীণ উন্নয়নের ওপরই দেশের জাতীয় উন্নয়ন নির্ভরশীল। হাওরকে পর্যটকদের জন্য আর ও আর্কষনীয় করতে পারলে হাওর জনপদের মানুষই নয় গ্রামীণ মানুষের ও উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশের গ্রামই হতে পারে পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র।
সারা বিশ্বে এটি প্রমানীত সত্য পর্যটনের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। বাংলাদেশে যত বেশী পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ঘটবে ততই গ্রামীন মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
আমাদের দেশে অর্ধশতাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে হস্পিটালিটি এবং ট্যুরিজম নিয়ে উচ্চতর অধ্যয়নের সুযোগ থাকলেও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভিত্তিক পর্যটন নিয়ে কোনোধরনের বিষয় এখন পর্যন্ত অর্ন্তভুক্ত হয়নি। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত পাচ শতাধিক প্রত্নস্তল রয়েছে। প্রত্নতত্ত্বকে ঘিরে বৃহৎ পরিসরে আর্কষনীয় এবং টেকসই পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। দেশের সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটন বিষয়ে কোর্স চালু করা যেতে পারে। শিক্ষার উচ্চতর পর্যায়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটন নামক বিষয় প্রর্বতন করা গেলে গবেষনার উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
১৯৮০ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে ও বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা সহকারে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড দেশের পর্যটন সক্ষমতাকে তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে চমৎকার স্মরণিকা প্রকাশ করে থাকে, যা ভ্রমন পিপাসু মানুষদের আকৃষ্ট করে। এ উদ্যোগ নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে; তাদের ধারাবাহিক সাফল্য কামনা করি।

ড. মোহাম্মদ আবু তাহের
লেখক ও গবেষক
মোবাইল-০১৭১১১৩৭২৯৮

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.