বাবুগঞ্জে চট্টগ্রামের নিহত ফয়সালের দাফন
কোটা বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে চট্রগ্রাম থেকে লাশ হয়ে ফিরলো মেধাবী ছাত্র বাবুগঞ্জের ফযসাল আহম্মেদ শান্ত। ১৬ জুলাই মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মুরাদপুর ২ নং গেটের মাঝামাঝি জায়গায় কোটা বিরোধী আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিতে নিহত হয় বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
ফয়সাল আহমেদ শান্ত চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। ফয়সাল আহম্মেদ শান্ত বরিশালের বাবুগঞ্জের পূর্ব রহমতপুর এলাকার মোঃ জাকির হোসেনের পুত্র। সে ছোট বেলা থেকে বেড়ে উঠেন একই উপজেলার মহিষাদী গ্রামের নানার বাড়ীতে।
বুধবার সকালে তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নানা বাড়ীতে নিয়ে আসলে স্থানীয়রা দেখতে ভীর করে। স্বজনদের আহজারিতে স্তব্দ হয়ে উঠে পুরো এলাকা। পরে যোহর নামায শেষে মানিককাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে নিজ বাড়ীতে দাফন করা হয়।
অনলাইন গনমাধ্যম রাইজিং বিডি. কম সূত্রে জানা যায়, মঙলবার বিকালে আন্দোলনরত অবস্থায় মুরাদপুর এলাকায় ছাত্রলীগের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ফয়সাল। এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে বাবুগঞ্জে নিজ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, তার ছেলে আন্দোলন এর সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। তখন গুলিবিদ্ধ হয়। তার তিনটি গুলি লেগেছিল। সে শহিদ হয়েছে।
শান্তর প্রতিবেশী আলাউদ্দিন জানান, শান্ত একেবারে শান্তশিষ্ট। স্কুল জীবন ও দেখেছি সে কখনও কারো সাথে ঝগড়াও করেননি। তার মতো ছেলেকে গুলি করে মারবে এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি।