বিচার প্রশাসনে বড় রদবদল
অন্তর্বর্তী সরকারের রদবদলের অংশ হিসেবে বিচারিক আদালতের ৮১ জন বিচারককে নতুন কর্মস্থলে ন্যস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা থেকে চারটি প্রজ্ঞাপন জারি করে রদবদলের কথা জানান হয়।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি করা হলো।’
আইন ও বিচার বিভাগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বেগম উম্মে কুলসুমকে আইন কমিশনের সচিব করা হয়েছে। আইন কমিশনের সচিব শেখ গোলাম মাহবুবকে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক করা হয়েছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। এই প্রজ্ঞাপনে মোট ২১ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে।
আরেক প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্বরত ৪৪ জন বিচারককে নতুন কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারাও ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যাবেন।
অন্য প্রজ্ঞাপনে ফেনী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানকে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ করা হয়েছে।চতুর্থ প্রজ্ঞাপনে ১৫ জনকে নতুন দায়িত্বে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত ৮ অগাস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে রদবদল করছে। প্রশাসনের উচ্চস্তরে থাকা অনেক শীর্ষ ব্যক্তিকে অবসরেও পাঠানো হচ্ছে। সিনিয়র সহকারী সচিবকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করার ঘটনাও ঘটেছে।
বিচার প্রশাসনেও রদবদল হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন আওয়ামী লীগ আমলের প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি।
দুই জন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, পদত্যাগী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে মামলাও হয়েছে।