ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ

স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন যুগের সমাপ্তি ঘটল। আজ বুধবার ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে হয়ে যাওয়া বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় নাজমুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ হতে যাচ্ছেন নতুন বোর্ড সভাপতি।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলরশিপ আগে থেকেই ছিল ফারুকের। সেই সুবাদেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় যুক্ত হলেন পরিচালক পদে। আর সেখান থেকেই চলে এলেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে। পরিচালক পদে এনএসসি কোটায় ফারুকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে দুদিন আগেই পদত্যাগ করেছিলেন জাতীয় দলের আরেক পেসার জালাল ইউনুস।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ফারুক আহমেদের সখ্যতা বেশ আগে থেকেই। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে দুই দফায় পালন করেছেন নির্বাচকের দায়িত্ব। ২০০৩ সালে প্রথমবার আসেন এই পদে। এরপর ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেই আরেকবার নির্বাচক হন তিনি। ২০১৬ সালে সেই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই নাজমুল হাসান পাপনের সরে যাওয়া নিয়ে ছিল ব্যাপক আকারের গুঞ্জন। বিগত সরকারের সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন টানা তিন মেয়াদে। শেষবার হয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। ক্রিকেট বোর্ডেও ছিল একক আধিপত্য। বোর্ডের গঠনতন্ত্রে দুই সহ-সভাপতির কথা উল্লেখ থাকলেও সেসব পদ শুন্যই ছিল তার মেয়াদে।

নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান অজানা। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে ছিল আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। তবে পাপন নিজেই এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় সেই শঙ্কাই আপাতত দূর হলো। বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমের বৈঠকে নিজের পদত্যাগের কথা জানান নাজমুল হাসান পাপন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সভাপতি মনোনয়ন এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে বসেন তিনি। ২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি

ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাপন।

এবি

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
১১ বার পড়া হয়েছে

বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ

আপডেট সময় ১২:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন যুগের সমাপ্তি ঘটল। আজ বুধবার ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে হয়ে যাওয়া বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় নাজমুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ হতে যাচ্ছেন নতুন বোর্ড সভাপতি।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলরশিপ আগে থেকেই ছিল ফারুকের। সেই সুবাদেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় যুক্ত হলেন পরিচালক পদে। আর সেখান থেকেই চলে এলেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে। পরিচালক পদে এনএসসি কোটায় ফারুকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে দুদিন আগেই পদত্যাগ করেছিলেন জাতীয় দলের আরেক পেসার জালাল ইউনুস।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ফারুক আহমেদের সখ্যতা বেশ আগে থেকেই। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে দুই দফায় পালন করেছেন নির্বাচকের দায়িত্ব। ২০০৩ সালে প্রথমবার আসেন এই পদে। এরপর ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেই আরেকবার নির্বাচক হন তিনি। ২০১৬ সালে সেই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই নাজমুল হাসান পাপনের সরে যাওয়া নিয়ে ছিল ব্যাপক আকারের গুঞ্জন। বিগত সরকারের সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন টানা তিন মেয়াদে। শেষবার হয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। ক্রিকেট বোর্ডেও ছিল একক আধিপত্য। বোর্ডের গঠনতন্ত্রে দুই সহ-সভাপতির কথা উল্লেখ থাকলেও সেসব পদ শুন্যই ছিল তার মেয়াদে।

নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান অজানা। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপে তাকে সভাপতি পদ থেকে নামানো হলে ছিল আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। তবে পাপন নিজেই এই পদ থেকে পদত্যাগ করায় সেই শঙ্কাই আপাতত দূর হলো। বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমের বৈঠকে নিজের পদত্যাগের কথা জানান নাজমুল হাসান পাপন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে সভাপতি মনোনয়ন এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে বসেন তিনি। ২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি

ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাপন।

এবি