নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর প্রবাহিত হচ্ছে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর
নবীগঞ্জে গত দুই দিনে প্রবল বৃষ্টিপাত আর ভারতীয় ঢলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বন্যায় আশংকায় আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন।
স্থানীয়রা জানান—গত দুইদিন ধরে অব্যহত বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফলে নদীর তীরবর্তী মথুড়াপুর, আহমদপুর, জামারগাঁও পয়েন্ট, গালিমপুর,মাধবপুর-গালিমপুর এবং ইনাতগঞ্জ ও আউশকান্দি ইউনিয়নের শতকারা ৮০ ভাগ মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে কুশিয়ারা ডাইক।
জানাযায়,চলতি বছরের জুন মাসে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়নে প্রবল বন্যা দেখা দিলে মানুষের বাড়িঘরে পানি প্রবেশের পাশাপাশি গ্রামীন রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে তিন ইউনিয়নের শতাধীক গ্রামের মানুষের স্থান হয় বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় আশ্রয় কেন্দ্রে।
দুই মাসের মাথায় আবারও বন্যায় আশংকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে ইনাতগঞ্জের পাশ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর বৃষ্টির পানিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের প্রায় ১০ টি গ্রামের বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। গ্রামগুলো হচ্ছে আলিপুরখাঁনপুর,জালালপুর,গোঁতগাও,আমিনপুর ইত্যাদি।স্থানীয় সাংবাদিক শাহ এসএম ফরিদ জানান,পাইলগাঁও ইউনিয়নের ১০/১২ট গ্রামের
বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করার পাশাপাশি চলাচলের রাস্তাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। পাশাপাশি তলিয়ে গেছে ফসলি জমিও। তিনি বলেন দুই মাসের ব্যবধানে আবারও বন্যায় মানুষের ভোগান্তির শেষ নাই। তিনি এসব বানবাসী মানুষের সাহায্যে সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।