ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত কখনও বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করেনি: দুদু

নিজস্ব সংবাদ :

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভারত কখনও বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করেনি। বন্ধুরাষ্ট্র হলে তারা বাংলাদেশের জনগণের হত্যাকারীকে আশ্রয় দিতে পারতো না।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে এমন কোনও পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেই নাই, যেটা বন্ধুরাষ্ট্রের প্রতি কোনও দেশ নিয়েছে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করেনি। ৫৩ বছরের ঘটনাবলীকে যদি সামনে আনি, তাহলে মনে হবে, ভারতে এতদিন যখনই যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা কোনও বন্ধুরাষ্ট্র নিতে পারে না। অথচ দেশটি দাবি করে, তারা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যাতে ভালো নির্বাচন না হয়, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসে, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। ওই ফাঁদে আপনারা পা দেবেন না। হাসিনা ওই ফাঁদে পা দিয়েছিল বলে সে নির্বাচনের বাইরে চলে গিয়েছিল।’

এ বছর বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি সমর্থন জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাজারে আগুন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের অচলাবস্থা, জনগণের মধ্যে অস্থির অবস্থা এগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের নির্বাচনের দিকে হাঁটতে হবে। আমরা যদি এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে পারি, তাহলে এসব সংকট থেকে মুক্ত হবো বলে প্রত্যাশা রাখি। তাই এখন সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সাত দিন, দশ দিন যুদ্ধ করে ভারত আমাদের স্বাধীন করে দিয়েছে, এটা তারা বলে। তাদের ১০-১৫ হাজার সৈন্য মারা গেছে তারা দাবি করে। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তারা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছে। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ভারত যে দাবি করে, সেটা কোনও বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের দাবি নয়। ফেলানী একটা কিশোরী তাকে গুলি করে হত্যা করে পাঁচ দিন কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। শেখ হাসিনা যেমন ক্ষমতায় থাকার জন্য তামাশা করেছে, ভারতও ফেলানী হত্যার বিচারে তামাশা করেছে।’

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন– বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী, আব্দুর রাজী প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
৪ বার পড়া হয়েছে

ভারত কখনও বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করেনি: দুদু

আপডেট সময় ০৭:৩১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভারত কখনও বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করেনি। বন্ধুরাষ্ট্র হলে তারা বাংলাদেশের জনগণের হত্যাকারীকে আশ্রয় দিতে পারতো না।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে এমন কোনও পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেই নাই, যেটা বন্ধুরাষ্ট্রের প্রতি কোনও দেশ নিয়েছে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করেনি। ৫৩ বছরের ঘটনাবলীকে যদি সামনে আনি, তাহলে মনে হবে, ভারতে এতদিন যখনই যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা কোনও বন্ধুরাষ্ট্র নিতে পারে না। অথচ দেশটি দাবি করে, তারা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যাতে ভালো নির্বাচন না হয়, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসে, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। ওই ফাঁদে আপনারা পা দেবেন না। হাসিনা ওই ফাঁদে পা দিয়েছিল বলে সে নির্বাচনের বাইরে চলে গিয়েছিল।’

এ বছর বা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন হওয়ার বিষয়টি সমর্থন জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাজারে আগুন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের অচলাবস্থা, জনগণের মধ্যে অস্থির অবস্থা এগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের নির্বাচনের দিকে হাঁটতে হবে। আমরা যদি এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে পারি, তাহলে এসব সংকট থেকে মুক্ত হবো বলে প্রত্যাশা রাখি। তাই এখন সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘সাত দিন, দশ দিন যুদ্ধ করে ভারত আমাদের স্বাধীন করে দিয়েছে, এটা তারা বলে। তাদের ১০-১৫ হাজার সৈন্য মারা গেছে তারা দাবি করে। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তারা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছে। ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ভারত যে দাবি করে, সেটা কোনও বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের দাবি নয়। ফেলানী একটা কিশোরী তাকে গুলি করে হত্যা করে পাঁচ দিন কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। শেখ হাসিনা যেমন ক্ষমতায় থাকার জন্য তামাশা করেছে, ভারতও ফেলানী হত্যার বিচারে তামাশা করেছে।’

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন– বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী, আব্দুর রাজী প্রমুখ।