মানুষ হত্যা করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করেছিল- বানিয়াচংয়ে জি কে গউছ
বানিয়াচঙ্গে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৮জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। এতে বিক্ষুব্দ জনতা থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় থানার কার্যক্রম।
গতকাল শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক
সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে থানার কার্যক্রম সচল করতে পরিস্কার অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় থানা ভবন ধুয়ে-মুছে পরিস্কার, থানা ভবন মেরামত, ফার্নিচার, সিলিং ফ্যান, ২১টি জানালা, থানার গেইট ও থানা মসজিদের মাইক, ওযু খানার মোটর এবং দরজা-জনালার গøাসের ব্যবস্থা করেন বিএনপির স্থানীয় ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দ।
এসব কাজের জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তার উত্তোলনকৃত নগদ টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়। পরে দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গুলিতে নিহতদের পরিবারের বাড়িতে যান আলহাজ্ব জি কে গউছ। তিনি তাদের শান্তনা দেন এবং সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
এ সময় জি কে গউছ বলেন- ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘদিনের একটি স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন অন্যায় অপকর্মের কারনে মানুষ বিক্ষুব্দ ছিল। ৬৯, ৭১, ৯০ এর মত ২০২৪ সালে মানুষ গর্জে উঠেছিল বলেই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে গেছেন। যারা তাজা রক্ত দিয়ে ২য় বারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন, সেই শহীদদের প্রতি আমাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। সকলের প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ সরকার বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে ছিল। ঠিক একইভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর বল প্রয়োগ করে, শত শত নিরপরাধ মানুষকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন- কতিপয় দলকানা স্বার্তেন্নেসাী অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্য জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আরেকটি স্বার্তেন্নেসাী মহল এই সুযোগে জনগণের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও থানায় আক্রমণ করে মালামাল নিয়ে যায়। তারা দুর্বৃত্ত, তাদের সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বানিয়াচং থানা পরিস্কার করেছি। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের সাথে আমরা এক সাথে কাজ করছি। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ থানা ভবন ও থানা মসজিদের মেরামত, ফার্নিচার ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করেছেন। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে বিএনপি আছে। আমরা সব ধরনের সহযোগীতা করবো।