মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল রিপ্রেজেন্টিভ বলছেন ঔষধের নাম, লিখছেন ডেন্টাল সহকারী
ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভদের চেম্বারে ডেকে এনে তাদের কোম্পানীর ঔষধের নাম ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন ডেন্টাল সহকারী আজিজুল হক। তিনি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের ডেন্টাল সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে উনার ব্যবস্থাপত্র লেখারই আইনি বৈধতা নেই।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে গেলে দেখা যায়, ডেন্টাল সহকারী আজিজুল হক একটি কক্ষে বসে রোগী দেখছেন। এক পর্যায়ে তিনি কক্ষের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা ঔষধ কোম্পানীর একজন প্রতিনিধিকে ভিতরে ডেকে এনে তার কোম্পানীর ঔষধের নাম জেনে ব্যবস্থাপত্রে লিখেন। ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অরিয়ন ফার্মার মেডিকেল প্রমোশন অফিসার হিসেবে মৌলভীবাজার কর্মরত আছেন। তার নাম সারওয়ার উদ্দিন। এ সময় আজিজুল হকের চেয়ারের পিছনে ঔষধ কোম্পানীর আরও একজন রিপ্রেজেন্টিভকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিবেদক ৪০ মিনিট পরে ফের তার কক্ষের সামনে গেলে দেখা যায় ঔষধ কোম্পানীর ৬/৭জন রিপ্রেজেন্টিভ দাঁড়িয়ে আছেন। আজিজুল হকের কক্ষ থেকে রোগীরা বের হলে রিপ্রেজেন্টিভরা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলছেন।
ডেন্টাল সহকারী আজিজুল হক বলেন, শনিবার ও বুধবার ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভদের সাক্ষাৎ দেই। রোগী দেখা অবস্থায় রিপ্রেজেন্টিভদের ডেকে এনে তাদের কোম্পানীর ঐষধের নাম লেখা ঠিক কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: প্রনয় কান্তি দাশ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী আজিজুল হক রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র লেখারই বৈধতা নেই। এটা উনি অন্যায় করেছেন। ঔষধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিভদের চেম্বারে ডেকে এনে তাদের কোম্পানীর ঔষধের নাম ব্যবস্থাপত্রে লিখার তো প্রশ্নই উঠে না।