লাখাইয়ের বুল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
লাখাই উপজেলার একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি পাওয়া ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনা অমান্য করে মনগড়াভাবে উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রীদের কাছ থেকে ১৬০ টাকা প্রতি মাসে হারে বেতন নিচ্ছে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। যার কোন বৈধত নেই।
একটা সময় ছিল যখন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের পুরো বেতন না দিয়ে অর্ধেক দিত সরকার; কিন্তু এখন পুরো বেতনই সরকারি কোষাগার থেকে যায়। তারপরও কমিটির দৌরাত্ম্যের কাছে মাঠ প্রশাসন তো বটেই, খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অসহায় হয়ে থাকতে হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কী হয়, নিপীড়ন-অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কাঙ্ক্ষিত কাজ হয় কিনা, ভর্তি, পরীক্ষা ও অন্যান্য ফি’র অর্থ কোথায় ও কীভাবে ব্যয় হয় এগুলো দেখার সময় এসেছে।
শিক্ষানুরাগী ও শিক্ষার্থীবান্ধব কেউ কমিটিতে না এলে যে এগুলো করা যাবে না, তা বলাই বাহুল্য।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বিঘ্নিত হলেও তার পরোয়া করা হয় না। আমরা আরো মনে করি, এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি বৈ উপকার যেহেতু হয় না, সেহেতু কমিটিগুলোর ও শিক্ষকদের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখে বিদ্যমান ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা উচিত।শিক্ষা ব্যবস্থাতে দুর্নীতি থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অবশ্যই দুর্নীতিগ্রস্ত হবে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,বুল্লা সিংহগ্রাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির নোভা আক্তার একজন উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রী। ওই ছাত্রীর অভিবাক জানান,তাদের মেয়ের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায় বেতন হিসাবে ৬ মাসের বেতন ও আনুষাঙ্গিক হিসেবে মোট ২২০০ টাকা আদায় করেন।নোভা আক্তারের অভিভাবক বেতনের রশিদ চাইলে পরে দেবে বলে তাকে আশ্বস্ত করেন।তিনি বেতনের রশিদ না পেয়ে বাড়ি চলে আসেন। বিদ্যালয় ছুটির পরে সন্ধ্যার দিকে একটি কম্পিউটার টাইপ করা একটি রশিদ দিয়ে আসেন অর্থ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব মুজিবুর রহমান।
এ ব্যাপারে অর্থবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল করিমের সাথে সরজমিনে সাক্ষাৎ করলে, ২০০ এর বেশি উপবৃত্তিদারি ছাত্রী আমার স্কুলের আওতায় রয়েছে
আমরা পৃর্বে থেকেই উপবৃত্তিদারি ছাত্রীদের বেতন এইভাবেই নিচ্ছি।বেতন আদায়ের রশিদ চাইলে তিনি বলেন, অনলাইনে সমস্যা,বিকাশে টাকা নাই,পরবর্তিতে নিতে বলে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বিগত ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন এর মাধ্যমেই আমরা পৃর্বের ন্যায় এ বেতনের টাকা আদায় করছি।
সরকারি বিধি মোতাবেক কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি সদ উত্তর দিতে পারেনি। এবং তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খরচ সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রোগ্রামের খরচ মেটাতে আমরা এ টাকা গুলো আদায় করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,উপবৃত্তিদারীদের কাছ থেকে বেতন আদায়ের কোন নির্দেশনা নেই।যদি কেউ নিয়ে তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর বিধি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি জানাবো।
বিদ্যালয়ে কর্তৃক বেতন আদায়ের রশিদ টি দেখালে তিনি বলেন বেতনের রশিদ এমন হতে পারেনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই ধরনের কোন অভিযোগ আগে পাইনি, যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমি এ ব্যাপারে খতিয়ে