লাখাইয়ে রোপা-আমন চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে চলছে মৌসুমি ফসল রোপা-আমন ধানের চাষাবাদ। মূলত বর্ষার পানি ভাটিতে নেমে যাওয়ার ফলে রোপা আমন ধানের চাষ শুরু হয়েছে। ধান চাষে জমি প্রস্তুত, আগাছা পরিষ্কার ও বীজতলা থেকে চারা উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন লাখাইয়ের কৃষকেরা।
উপজেলার করাব, বামৈ, মোড়াকরি ও মুড়িয়াউক ইউনিয়নের অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি থেকে বর্ষার পানি ভাটিতে নেমে যাওয়ায় চাষযোগ্য জমি-জামায় রোপা-আমন ধানের চাষাবাদ করতে কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রাম দক্ষিণের মাঠে ৬-৭টি বৃহত ও ছোট-ছোট পাওয়ার টিলা্রের সাহায্যে জমিকে চাষযোগ্য করা হচ্ছে। এরমধ্যে অনেকে আবার রোপনের জন্য বীজতলা থেকে ধানের চারা উত্তোলন করছেন। কেউবা করছেন জমিতে চারা রোপন। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার মানুষ। কৃষকদের পাশাপাশি রয়েছেন নারীরাও। বীজতলায় করছেন ধানের চারা উত্তোলনের কাজ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতিবছরে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। এরমধ্যে ৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং বাকি ৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আাবাদ করা হবে। এছাড়া চলতিবছরে নতুন করে ১০৩ জাতের ধান প্রথম বারের মতো রোপা-আমনের মৌসুমে যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বীনা-৭, বীনা-১৭, নাবী জাতের ২২, ২৩, ব্রীধান-৭৫, ব্রীধান-৪৯, ব্রীধান-৮৭, ব্রীধান-৩৯ জাতের ধান চাষাবাদ হচ্ছে।
এদিকে আউশধান আবাদের সময় বন্যায় বেশির ভাগ জমি তলিয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। এক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন মৌসুমে রোপা আমনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, ‘লাখাইয়ে রোপা-আমন ধান চাষাবাদ করতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। নতুন জাতের ধান আবাদের লক্ষ্যে ১০৩ জাতের ধান আবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে আসছি আমরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে রোপা-আমনের চাষ লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশি হবে বলে আশা করছি।’