লাখাইয়ে ৫ বছরের শিশুকে অপহরণ, সিলেট থেকে উদ্ধার
আত্মীয়তার সূত্রে বেড়াতে এসে পোশাক কিনে দেওয়ার কথা বলে ৫ বছরের শিশু মোজাম্মিল মিয়াকে নিয়ে সথানীয় একটি বাজারে যান মাওলানা সফিকুল ইসলাম। এরপর শিশুটিকে অপহরণ করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সফিকুল। বাধ্য হয়ে শিশুটির বাবা ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান। কিন্তু তাতেও শিশু মোজাম্মিল মিয়াকে ফিরিয়ে না দিয়ে আরও টাকা চাওয়া হয়।
পরে বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশ অপহৃত শিশুকে সিলেট থেকে উদ্ধার করেছে। একই সাথে অপহরণকারী সফিকুলকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে লাখাই উপজেলার ৬ নম্বর বুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব বুল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অপহৃত শিশু মোজাম্মিল ওই গ্রামের আল আমীনের ছেলে।
অপহরণের ঘটনায় আটক মাওলানা সফিকুল ইসলাম বি-বাড়ীয়া জেলার বিজয় নগর উপজেলার সাটিরপাড় গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি মোড়াকরি ইউনিয়নের লখনাউক গ্রামে বসবাস করছেন।
থানাপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আত্মীয়তার সূত্রে আল আমীনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন সফিকুল। পরে আল আমীনের ছেলে মোজাম্মিল মিয়াকে (৫)স্থানীয় বুল্লা বাজার থেকে পোশাক কিনে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরবর্তীতে অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ার পর মুজাম্মিলকে নিয়ে বাড়িতে না আসায় আল আমীনের বাবা আব্দুস শহিদ বৃহস্পতিবার রাতে লাখাই থানায় একটি জিডি করে।
পুলিশ জানায়, জিডিতে আল আমিন উল্লেখ করেন সফিকুল ইসলাম তাদের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে। এরই মধ্যে তার বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে আরও টাকা দাবি করছে।
জিডি পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিলেট নগরীর ভার্থখলা এলাকার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু মোজাম্মিলকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী সফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বন্দে আলী বলেন, শিশু অপহরণের একটি জিডি পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে ১২ ঘন্টার মধ্যে সিলেট থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক আসামীকে শনিবার হবিগঞ্জ জেলা সদরে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হবে।