শায়েস্তাগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট সাধারন মানুষ
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নাকাল উপজেলাবাসী। বিশেষ করে শাক-সবজির মূল্য নাগালের বাইরে চলে গেছে। টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সর্বত্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে ক্ষেতে থাকা পরিপক্ক সবজি তলিয়ে গিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শাক-সবজি বিনষ্ট হয়েছ।
যে কারণে সবজির দামে আগুন লেগেছে। সমূহ আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবজি চাষী ও বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করছেন। তবে ভালো নেই ক্রেতাসাধারণ। ইতোমধ্যেই নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতার।
সরজমিনে উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এলাকাভিত্তিক চাষকৃত শাক সবজির। বিক্রেতারা জানান, বন্যাজনিত কারণে ক্ষেতের সবজি ক্ষেতেই পাঁচে গলে নষ্ট হয়েছে। যে কারণে শাক-সবজির আমদানি ও সরবরাহ চাহিদার তুলনায় নগণ্য।
সংগত কারণেই শাক-সবজির দাম আকাশছোঁয়া। অজ্ঞাত কারণে আলুর দাম ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজিতে উঠা নামা করছে । যদিও এ বর্ষা মৌসুমে দেশীয় শাক-সবজির দাম সর্বনিম্নে থাকার কথা ছিল। এছাড়া ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা বাজারের ক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, বাজারে এসে দেখি সবজির দাম অত্যধিক তাই এক কেজির দাম দিয়ে আধা কেজি কিনেছি। এ উচ্চমূল্যের বাজারে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট করতে হয়। নারী ক্রেতা সাবিনা ইয়াসমিন বলেছেন, শাক-সবজি মাছ-মাংশসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম গগনচুম্বী। আমরা সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।