সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
লন্ডনস্থ ক্যামডেন কাউন্সিলের মেয়র নিযুক্ত হয়েছেন হবিগঞ্জের সমতা খাতুন নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে বিএনপির একক প্রার্থী, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জেলা পরিষদের অর্থসহায়তা জেলাবাসীর মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এমপি আবু জাহির এর অনন্য উদ্যোগ বিদ্যালয়ে টিকটক করার অভিযোগে শিক্ষার্থী বহিষ্কার লাখাইয়ে নয়ন হত্যার ঘটনায় আটক ৪ নবীগঞ্জে বাস- সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১-আহত ৫ সাধারণ কৃষকদের দোরগোড়ায় প্রাণোদনার সুফল পৌঁছে দিন-এমপি আবু জাহির মৌলভীবাজারে মসজিদের খতিব’কে মারধর করলেন মোতাওয়াল্লী আজমিরীগঞ্জে কীটনাশক পানে যুবকের আত্মহত্যা

শায়েস্তাগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গৃহবধুর মৃত্যু, ঘাতক স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে স্বামীর ছুরিকাঘাতে ফুলতারা (২৮) নামে প্রাণ কোম্পানীর শ্রমিক মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবার পর মারা যান। এদিকে এখনও তার দুই অবুঝ শিশু মায়ের অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আসছে। কখন যে তাদের মা চিপস নিয়ে আসবে। তারা জানেনা তাদের মা পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছে। অপর দিকে হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব জানিয়েছেন, ঘাতক মৃত হুরন আলীর পুত্র ফুলতারার স্বামী রফিক মিয়াকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের মকসুদ আলীর স্ত্রী ফুলতারার মা আছিয়া খাতুন জানান, ৮ বছর আগে শেরপুর গ্রামের মৃত হুরন আলীর পুত্র রফিক মিয়া (৩৫) এর নিকট তার মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু রফিক জুয়াড়ি হওয়ায় জুয়ার টাকার জন্য ফুলতারাকে মারধোর করতো। দুই বছর আগে জুয়ার টাকার জন্য ফুলতারাকে মারপিট করে দুইটি সন্তান দিয়ে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দুই শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে ফুলতারা প্রাণকোম্পানীতে চাকরি নেয়। এরপরও রফিক তার পিছু ছাড়েনি। তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আদালতে যৌতুকের মামলা করে রফিকের বিরুদ্ধে। এ মামলায় রফিকের ১ বছরের সাজা হয়। পুলিশ তাকে ধৃত করে কারাগারে প্রেরণ করলে কিছুদিন জেলখেটে বেরিয়ে আসে। এরপরই ফুলতারাকে মারার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। গতকাল ওই সময় প্রাণ কোম্পানী থেকে পিতার বাড়ি ফেরার পথে রফিকের বাড়ির নিকটে পৌঁছামাত্র ছুরিকাঘাত করে। এক পর্যায়ে তার নাড়ি-ভূড়ি বেরিয়ে যায়। লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখানে তার অবনতি হলে সিলেট নেয়ার পর ওসমানি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সে মারা যায়। গতকাল বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মাগরিবের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.