শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন,রতন সভাপতি, কামরুল সম্পাদক, সুমন যুগ্ম সম্পাদক ক্লাবের ৩ সদস্য বহিষ্কার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেসবুক ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রচার ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের তিন সাংবাদিক সহ ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রেসক্লাবে স্মারকলিপি প্রদান করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ছাত্রদের দাবির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে ক্লাবের সদস্য কামরুজ্জামান আল রিয়াদ, সৈয়দ এম আর মাসুক ভান্ডারী ও সাখাওয়াত হোসেন টিটুকে ক্লাবের স্থায়ী সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও দুই সাংবাদিক মামুন চৌধুরী ও কাজল মিয়া প্রেসক্লাব ক্লাব সদস্য না হওয়ায় তাদের এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব।
একই সভায় সভাপতির অসহযোগিতা ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং কার্যকরি কমিটির অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্ন প্রকার অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যকরি কমিটির ৫ জন সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ফলে প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটি অকার্যকর হওয়ায় উপস্থিত সকল সদস্যদের আলোচনার ভিত্তিতে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়।
এতে মঈনুল হাসান রতনকে (দৈনিক যায়যায়দিন ও দৈনিক দিনকাল) সভাপতি, কামরুল হাসানকে (এনটিভি) সাধারণ সম্পাদক ও মিজানুর রহমান সুমনকে (দৈনিক আজকের হবিগঞ্জ) যুগ্ম সম্পাদক করে একটি কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়।
কার্যকরি কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহসভাপতি সৈয়দ আজিজুর রহমান ছয়ফুর(সিলেটের দিনকাল) কোষাধ্যক্ষ মোঃ মহিবুর রহমান (বাংলাদেশ সমাচার), সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক দেলোয়ার ফারুক তালুকদার শাহজাহান (শায়েস্তাগঞ্জের বানী), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ মনির (দৈনিক তরফ বার্তা), দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক মোঃ শফিক মিয়া (দৈনিক প্রভাকর), নির্বাহী সদস্য আ স ম আফজল আলী (দৈনিক জালালাবাদ), তাহমিনা বেগম (দৈনিক শায়েস্তাগঞ্জের বানী) ও শামীম আহমেদ(দি ডেইলি অবজারভার)।#