ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আজমিরীগঞ্জে শিকলবন্দি বাবুল বৈষ্ণব Logo শায়েস্তাগঞ্জে ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জে সভা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত Logo শায়েস্তাগঞ্জে মাজারের দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত না করতে অনুরোধ করায় নিরীহ লোকদের ওপর হামলা Logo নবীগঞ্জে আব্দুল কাইয়ুম হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মোজাহিদ র‌্যাবের হাতে বন্দি Logo ‘৩২৯ উপজেলায় হচ্ছে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ Logo মাধবপুরে গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২ Logo নবীগঞ্জে নেশার টাকার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ঘাতক ছেলে Logo আজ তেলিয়াপাড়া দিবস, ১১ সেক্টরে ভাগ হয় মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন Logo আমাকে যুদ্ধপরাধ মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল: জামায়াত আমীর Logo সাতছড়ি উদ্যানে পর্যটকের ঢল

সাধারণ জ্বর-সর্দিও হতে পারে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ব্রেন ইটিং অ্যামিবা বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন খুব একটা শোনা যায় না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস বলছে, খুব বেশি কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে যারা এর শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউই বাঁচেননি। কারণ কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত কি না তা বুঝতে বুঝতেই সময় চলে যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এরই মধ্যে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

সাধারণ জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু সংক্রমণের সংখ্যা খুবই কম, তাই চিকিৎসকদের ধারণাতেও সহজে ব্রেন ইটিং অ্যামিবার কথা আসে না।

সাধারণ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য ধরনের জ্বরের পরীক্ষা করতে করতে সময় চলে যায়। তবে বিজ্ঞান বলছে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো গেলেও যেতে পারে।

কীভাবে অ্যামিবার সংক্রমণ ছড়ায়:

সাধারণত ট্যাপের পানি, পুকুর বা জলাশয়ের পানি থেকেই অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করে। মূলত পানির মাধ্যমেই নাক দিয়েই সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছায় এটি।

সেখানে গিয়ে ব্রেনের স্তর ও কোষ ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো হলে রোগী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান।

লক্ষ্যণ: অ্যামিবায় সংক্রম হলে এর এর লক্ষণগুলো হলো- প্রচণ্ড মাথাব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর, সর্দি-কাশি ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ইত্যাদি।

অ্যামিবার সংক্রম যা করবেন:

১. ট্যাপ কলের পানি দিয়ে নাক ধোয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে।

২. পুকুরে গোসল, সাঁতার কাটা বা খেলার মতো ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নাক দিয়ে পানি যাতে শরীরে না যায়, দেখতে হবে সেটাও।

৩. পানি ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে ফিল্টার করে তবেই নাক মুখ ধুতে ব্যবহার করুন। দরকারে ওয়াটার পিউরিফায়ারের পানি ব্যবহার করুন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
৭১ বার পড়া হয়েছে

সাধারণ জ্বর-সর্দিও হতে পারে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা

আপডেট সময় ০৯:০৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

ব্রেন ইটিং অ্যামিবা বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন খুব একটা শোনা যায় না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস বলছে, খুব বেশি কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে যারা এর শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউই বাঁচেননি। কারণ কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত কি না তা বুঝতে বুঝতেই সময় চলে যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এরই মধ্যে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

সাধারণ জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু সংক্রমণের সংখ্যা খুবই কম, তাই চিকিৎসকদের ধারণাতেও সহজে ব্রেন ইটিং অ্যামিবার কথা আসে না।

সাধারণ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য ধরনের জ্বরের পরীক্ষা করতে করতে সময় চলে যায়। তবে বিজ্ঞান বলছে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো গেলেও যেতে পারে।

কীভাবে অ্যামিবার সংক্রমণ ছড়ায়:

সাধারণত ট্যাপের পানি, পুকুর বা জলাশয়ের পানি থেকেই অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করে। মূলত পানির মাধ্যমেই নাক দিয়েই সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছায় এটি।

সেখানে গিয়ে ব্রেনের স্তর ও কোষ ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো হলে রোগী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান।

লক্ষ্যণ: অ্যামিবায় সংক্রম হলে এর এর লক্ষণগুলো হলো- প্রচণ্ড মাথাব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর, সর্দি-কাশি ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ইত্যাদি।

অ্যামিবার সংক্রম যা করবেন:

১. ট্যাপ কলের পানি দিয়ে নাক ধোয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে।

২. পুকুরে গোসল, সাঁতার কাটা বা খেলার মতো ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নাক দিয়ে পানি যাতে শরীরে না যায়, দেখতে হবে সেটাও।

৩. পানি ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে ফিল্টার করে তবেই নাক মুখ ধুতে ব্যবহার করুন। দরকারে ওয়াটার পিউরিফায়ারের পানি ব্যবহার করুন।