রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন

হবিগঞ্জে নিজেদের ঘর থেকে গৃহবধূ ও কলেজছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পৃথক ঘটনায় নিজেদের বসতঘর থেকে গৃহবধূ ও কলেজছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুটি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের বিন্যাখালী গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আব্দুর জব্বারের ছেলে সাব্বির মিয়ার (২৩) ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি সিলেট জালালাবাদ স্বুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের শিবপাশা কান্দিপাড়ের মোস্তাকিন মিয়ার স্ত্রী রুপসা আক্তারের (২৫) গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাব্বির লেখাপড়ার সূত্রে সিলেটে বসবাস করতেন। সপ্তাহ খানেক আগে তিনি বাড়িতে আসেন। বিকেলে মায়ের কাছে ৩০ হাজার টাকা চান সাব্বির। তার মা টাকা পরে দেবে জানালে অভিমান করেন। পরে সবার অগোচরে নিজের বসতঘরের আড়ার সঙ্গে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস দেন সাব্বির।

কিছুক্ষণ পর বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে এলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে জানানো হয় হয়। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাব্বিরের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।অপরদিকে রুপসা আক্তারের সঙ্গে ঢাকায় কর্মরত স্বামী মোস্তাকিনের মোবাইল ফোনে কথাকথাকাটি হয়।

এরই জের ধরে অভিমানে পরিবারের সবার অগোচরে নিজের বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁস দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর রুপসার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর কবিরসহ একদল পুলিশ গিয়ে রুপসা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাব্বিরে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া নেওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন আবেদন করেছেন। আর রুপসা আক্তারের মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.