২০২৫–এ আসছে জেন জির উত্তরসূরি জেন বেটা
রাজনীতি থেকে ফ্যাশন ট্রেন্ড—চলতি জীবনে সবকিছুতেই এখন জেন জিদের জয়জয়কার। বিশ্বজুড়ে সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে জেন জিরা। জেন জি বা জেনারেশন জেড হলো সেই প্রজন্ম, যাদের জন্ম ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। আর তাদের পরবর্তী প্রজন্ম হলো জেনারেশন আলফা বা জেন আলফা, যাদের জন্মকাল ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এই দুই প্রজন্মের উত্তরসূরি হিসেবে আসছে জেনারেশন বেটা বা জেন বেটা।
প্রজন্মের নামকরণের জন্য পরিচিত সমাজবিজ্ঞানী মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল জানান, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বিশ্বে আসতে চলেছে নতুন প্রজন্ম—জেনারেশন বেটা বা জেন বেটা। ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী এই প্রজন্ম ২০৩৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ১৬ শতাংশে পরিণত হবে।
মার্ক জানান, জেন বেটাদের ‘বেটা বেবি’ বলে ডাকা হবে। এই প্রজন্ম শুরু থেকেই দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রে প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষ উপভোগ করবে। ভার্চুয়াল জগৎ তাদের জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে উঠবে।
জেন বেটা এমন এক প্রজন্ম, যাদের জন্ম হবে স্মার্ট টেকনোলজি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির (এআই) জগতে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতি মুহূর্তে এআইকে কাজে লাগাবে তারা। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিনোদন—সব জায়গায় তারা এআইয়ের সাহায্য নেবে বলে মনে করেন মার্ক।
মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল তাঁর ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘জেন বেটা বা বেটা বেবিদের হাতের মুঠোয় থাকবে প্রযুক্তি। যখন জেনারেশন আলফা স্মার্ট প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, জেনারেশন বেটা এমন এক যুগে বাস করবে যেখানে শিক্ষা থেকে বিনোদন—তাদের দৈনন্দিন জীবনের সব ক্ষেত্রে এআই ও অটোমেশন পুরোপুরি জড়িত থাকবে।’
তবে মার্ক জানান, এই প্রজন্মকে এমন এক দুনিয়ার মুখোমুখি হতে হবে, যা জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ণ এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার সমস্যায় জর্জরিত। এসব চ্যালেঞ্জ তাদের মানিয়ে নেওয়া, গুণমান বজায় রাখা এবং পারস্পরিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন শেখাবে।
মার্ক বলেন, ‘বেটা বেবিরা ভবিষ্যৎ গড়বে, তাই তাদের চাহিদা, মূল্যবোধ ও পছন্দ বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’
আধুনিক বিশ্বে যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রসারে ক্রমশ সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ কমে যাচ্ছে, সেখানে জেনারেশন বেটাকে সংযোগ স্থাপনের বিভিন্ন ধরনের উপায় খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী মার্ক।