ইতালির বিদায়ে তোপের মুখে দলটির কোচ স্পালেত্তি
বিগত দুই বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি চারবারের বিশ্বকাপজয়ী দল ইতালি। ২০২২ সালে যারা দুর্দান্ত খেলে জিতেছিল ইউরো ফুটবল সেই অন্যতম পরাশক্তিরা যে সুদিন হারাতে বসেছে তার প্রমাণ চলতি ইউরোর আসর। দুই দশকে এই প্রথমবার ইউরোপের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বিদায় নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল।
শেষ ষোলোতে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে এখন রীতিমতো তোপের মুখে দলটির কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি। ইতালির সংবাদ মাধ্যম তার কোচ থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে তার কৌশল আর একাদশে বার বার কাটছাঁট জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। হারের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ইতালির ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতির মূল্যায়নে হয়তো বসতে পারেন স্পালেত্তি।
ইতালির কোচ অবশ্য নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে চাইলেন না। ভাসা ভাসাভাবে শুধু বলেছেন, ‘আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।’ সব দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে স্পালেত্তি বলেছেন, ‘যা হয়েছে তার সম্পূর্ণ দায়ভার আমার। খেলোয়াড়রা আমার, আমিই তাদের বেছে নেই। আজ যেভাবে খেলেছি, তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নই। এমনকি স্পেনের বিপক্ষেও নিজেদের খেলা নিয়ে খুশি ছিলাম না।’
খুব বেশিদিন হয়নি স্পালেত্তি দায়িত্ব নিয়েছেন। সময়টা এক বছরেরও কম। তাই সব কিছুকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন তিনি, ‘যেসব কোচরা এখানে এসেছে, তারা এরই মধ্যে ইউরোর আগে ২০ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছে। কেই কেউ ৩০টি। আর আমি মাত্র ১০টি… তাছাড়া আমাদের বেশ কিছু খেলোয়াড় ইনজুরি আক্রান্ত। যাদের ওপর আমি ভরসা করেছিলাম।’
অথচ গতবার যেভাবে শিরোপা জিতেছে তাতে ইতালিয়ান ফুটবলের পুনর্জাগরণ দেখছিলেন অনেকে। কিন্তু এবার আলবেনিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের পর দ্রুতই অবনতি হয়েছে ইতালির পারফরম্যান্স! স্পেনের কাছে হারের ব্যবধান ছিল ১-০। তাও গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা দৃঢ়তার কারণে। না হলে পরাজয়ের ব্যবধান বাড়তে পারতো।
তাছাড়া ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র পেতে অপেক্ষায় থাকতে হয় ৯৮ মিনিট পর্যন্ত। সেই ড্রয়ের সুবাদেই শেষ ষোলোতে নাম লেখায় ইতালি। দলটির অধিনায়ক দোন্নারুম্মার পারফরম্যান্স-ই আলো ছড়িয়েছে শুধু। তাছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে আহামরি ছিল না তারা। বিদায় নেওয়ার পর দোন্নারুম্মা হতাশার কথা গোপন করেননি, ‘এটা সত্যিই কষ্টের। এমন বিদায়ে সবার কাছে শুধু ক্ষমাই চাইতে পারি। আজকে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলাম আমরা। প্রতিপক্ষ জয়ের যোগ্য ছিল।’