ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতিউর পরিবারের ৪ ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতক জমি জব্দের নির্দেশ

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

কোরবানি ঈদে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা ৪ টি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতক জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৪ জুন একই আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন।

এছাড়া ছাগলকাণ্ডে দেশব্যাপী সমালোচনায় গত ২৩ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই অনুসন্ধান পর্যায় থেকে শেষ হয়েছে কার্যক্রম। তবে কোরবানি ঈদে ছেলের ছাগলকাণ্ডে দেশব্যাপী আলোচনায় আসার পর পঞ্চমবারের মতো মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

গত ৪ জুন দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিশন সভায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পঞ্চম বারের মতো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন। এতে মতিউরের নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য সামনে আসছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
৩২ বার পড়া হয়েছে

মতিউর পরিবারের ৪ ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতক জমি জব্দের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

কোরবানি ঈদে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা ৪ টি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতক জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৪ জুন একই আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের পুত্র আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন।

এছাড়া ছাগলকাণ্ডে দেশব্যাপী সমালোচনায় গত ২৩ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই অনুসন্ধান পর্যায় থেকে শেষ হয়েছে কার্যক্রম। তবে কোরবানি ঈদে ছেলের ছাগলকাণ্ডে দেশব্যাপী আলোচনায় আসার পর পঞ্চমবারের মতো মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

গত ৪ জুন দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিশন সভায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পঞ্চম বারের মতো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একজন উপ-পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন। এতে মতিউরের নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য সামনে আসছে।