ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেরগুল, সম্পাদক মাসুম Logo বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের Logo গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১ Logo বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক Logo উপজেলার সভায় সিদ্ধান্ত শায়েস্তাগঞ্জে আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতের মাহফিল হবে নির্ধারিত তারিখে Logo শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের মায়ের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo আজমিরীগঞ্জ কাকাইলছেওয়ে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্টিত Logo রাখাইনে জান্তার সেনা সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি Logo গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ Logo টাংগুয়ায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে, দুইলক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ

শাহবাগে পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে : ডিএমপি

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ব্যানারে গত ৬ জুলাই থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আদালতের নির্দেশনার পর ডিএমপির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় না নামার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

তারপরও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু পালন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ সেখানে (শাহবাগে) ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছিলাম রাস্তায় যেন না নামেন। গতকাল আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের অবকাশ নেই। আশা করেছিলাম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না। কিন্তু তারা নেমে পড়লেন।

মহিদ বলেন, পুলিশের অবস্থান সেখানে রয়েছে। পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, আজকেই এটা শেষ হবে। ফার্দার কিছু করবে না। পুলিশ চায় না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু হোক। তাদেরও বোঝা উচিত। তাদেরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আশা করব তাদের বোধোদয় হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয়, পরে সরে যায়। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বর্তমানে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
৩৯ বার পড়া হয়েছে

শাহবাগে পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে : ডিএমপি

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ব্যানারে গত ৬ জুলাই থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আদালতের নির্দেশনার পর ডিএমপির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় না নামার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

তারপরও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু পালন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ সেখানে (শাহবাগে) ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছিলাম রাস্তায় যেন না নামেন। গতকাল আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের অবকাশ নেই। আশা করেছিলাম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না। কিন্তু তারা নেমে পড়লেন।

মহিদ বলেন, পুলিশের অবস্থান সেখানে রয়েছে। পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, আজকেই এটা শেষ হবে। ফার্দার কিছু করবে না। পুলিশ চায় না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু হোক। তাদেরও বোঝা উচিত। তাদেরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আশা করব তাদের বোধোদয় হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয়, পরে সরে যায়। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বর্তমানে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।