ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক বছরেও সন্ধান মেলেনি মহব্বত আলীর

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

এক বছরেও সন্ধান মেলেনি হবিগঞ্জের মাধবপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে পরিচিত নিখোঁজ মহব্বত আলী। গত বছর ৩০ জুলাই রাতে নিখোঁজ হয় মহব্বত আলী। যার বয়স ৩৮ হবে। এখনো খোঁজ মিলেনি তার। তিনি উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের রুসমত আলীর ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিখোঁজ মহব্বত আলী কয়েক বছর আগে দুবাই থেকে ফেরত আসেন। এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসাবে রয়েছে তার পরিচিতি। বিভিন্ন সময়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে কাজ করেছেন।

গত বছরের ১ আগস্ট নিখোঁজ মহব্বত আলীর বাবা রুসমত আলী বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন যার নং-৩৫।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৮ জুলাই নিখোঁজ মহব্বত আলীর পিতা রুসমত আলী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-৬) আদালতে একই গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে খোকন মিয়াকে (৩৮) প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বার ৪৩৮/২৩ (মাধব)। আদালত মাধবপুর থানাকে মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্যে আদেশ দেন। আদালতের আদেশে মাধবপুর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মাধবপুর থানায় মামলা নং-১৯।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ মহব্বত আলী বিজিবির সোর্স হিসাবে বিভিন্ন সময়ে মাদক উদ্ধারে সহযোগিতা করাতে বিরোধ দেখা দেয় আসামিদের সঙ্গে। নিখোঁজ মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ আটক হয়। প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে ।

বিজিবির সোর্স হিসাবে নিখোঁজ মহব্বত আলী আসামিদের মাদকের চালান আটকে সহযোগিতার জন্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। আমার দুইটা নাতি মহব্বত আলীর সন্তানরা তাদের বাবাকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায়। আমি আমার ছেলে ফেরত চাই। আমার ছেলে ফেরত পাওয়ার আশায় আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিচ্ছি।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন চেয়ে গত ১০ জুন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন রুসমত আলী। মামলাটি রুজু করার পর থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হক,পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক আ. রহিম তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হয়ে চলে গেলে নবাগত পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।

নিখোঁজ মহব্বত আলী পরিবারের দাবি, থানা পুলিশের নিকট মামলা থাকলে ভিকটিম উদ্ধার হবে না। তাই তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করে সিআইডি অথবা পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ জানান, আমি মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এই মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

বাদী পক্ষ মামলাটি তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করার জন্যে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে বলে জানতে পেরেছি। এখনও আমি তদন্তকারী হিসাবে দায়িত্বে আছি, ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, আমি এই থানায় নতুন যোগদান করেছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি নিখোঁজ মহব্বত আলীকে বের করতে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
৩৯ বার পড়া হয়েছে

এক বছরেও সন্ধান মেলেনি মহব্বত আলীর

আপডেট সময় ০৬:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

এক বছরেও সন্ধান মেলেনি হবিগঞ্জের মাধবপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে পরিচিত নিখোঁজ মহব্বত আলী। গত বছর ৩০ জুলাই রাতে নিখোঁজ হয় মহব্বত আলী। যার বয়স ৩৮ হবে। এখনো খোঁজ মিলেনি তার। তিনি উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের রুসমত আলীর ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিখোঁজ মহব্বত আলী কয়েক বছর আগে দুবাই থেকে ফেরত আসেন। এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসাবে রয়েছে তার পরিচিতি। বিভিন্ন সময়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে কাজ করেছেন।

গত বছরের ১ আগস্ট নিখোঁজ মহব্বত আলীর বাবা রুসমত আলী বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন যার নং-৩৫।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৮ জুলাই নিখোঁজ মহব্বত আলীর পিতা রুসমত আলী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-৬) আদালতে একই গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে খোকন মিয়াকে (৩৮) প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বার ৪৩৮/২৩ (মাধব)। আদালত মাধবপুর থানাকে মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্যে আদেশ দেন। আদালতের আদেশে মাধবপুর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মাধবপুর থানায় মামলা নং-১৯।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ মহব্বত আলী বিজিবির সোর্স হিসাবে বিভিন্ন সময়ে মাদক উদ্ধারে সহযোগিতা করাতে বিরোধ দেখা দেয় আসামিদের সঙ্গে। নিখোঁজ মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ আটক হয়। প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে ।

বিজিবির সোর্স হিসাবে নিখোঁজ মহব্বত আলী আসামিদের মাদকের চালান আটকে সহযোগিতার জন্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ছেলে নিখোঁজ হয়। আমার দুইটা নাতি মহব্বত আলীর সন্তানরা তাদের বাবাকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায়। আমি আমার ছেলে ফেরত চাই। আমার ছেলে ফেরত পাওয়ার আশায় আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিচ্ছি।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন চেয়ে গত ১০ জুন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন রুসমত আলী। মামলাটি রুজু করার পর থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হক,পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক আ. রহিম তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হয়ে চলে গেলে নবাগত পুলিশ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।

নিখোঁজ মহব্বত আলী পরিবারের দাবি, থানা পুলিশের নিকট মামলা থাকলে ভিকটিম উদ্ধার হবে না। তাই তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করে সিআইডি অথবা পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাসিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ জানান, আমি মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এই মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

বাদী পক্ষ মামলাটি তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করার জন্যে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে বলে জানতে পেরেছি। এখনও আমি তদন্তকারী হিসাবে দায়িত্বে আছি, ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, আমি এই থানায় নতুন যোগদান করেছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি নিখোঁজ মহব্বত আলীকে বের করতে।