ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একসঙ্গে ভাই-বোনের মৃত্যু, হাসপাতালে মা

পাবনায় প্রতিনিধিঃ

পাবনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাসেল হোসেন (১৩) ও ফারজানা ইয়াসমিন (২৩) নামের দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুইজন ওই গ্রামের মো. হিরু ইসলামের ছেলে-মেয়ে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তার স্ত্রীও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ১০ই মহররম উপলক্ষ্যে তাঁত শ্রমিকদের ছুটি থাকায় হিরু ইসলামের মেয়ে ফারজানা তাঁতের মেশিন চালাতে যায়। এ সময় ফারজানা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটকে পড়ে। তাকে উদ্ধার করতে ছোট ভাই এগিয়ে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এরপর দুজনকে উদ্ধার করতে তার মা এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলে দুইজনের মৃত্যু হয়। আহতাবস্থায় নিহতদের মাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

নিহতদের বাবা হিরু ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আজকে ছুটির দিনে শ্রমিকরা কাজে আসেনি তাই মেয়ে তাঁত চালাতে গিয়েছিল। তাঁত মেশিনের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল আমরা একটুও টের পাইনি। আমার সর্বনাশ হয়ে গেল। দুই কলিজার টুকরা আমাকে ছেড়ে চলে গেল। এখন আমি একদম এতিম হয়ে গেলাম।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাওয়ারলুম তাঁত চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
৩২ বার পড়া হয়েছে

পাবনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একসঙ্গে ভাই-বোনের মৃত্যু, হাসপাতালে মা

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

পাবনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাসেল হোসেন (১৩) ও ফারজানা ইয়াসমিন (২৩) নামের দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুইজন ওই গ্রামের মো. হিরু ইসলামের ছেলে-মেয়ে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তার স্ত্রীও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ১০ই মহররম উপলক্ষ্যে তাঁত শ্রমিকদের ছুটি থাকায় হিরু ইসলামের মেয়ে ফারজানা তাঁতের মেশিন চালাতে যায়। এ সময় ফারজানা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটকে পড়ে। তাকে উদ্ধার করতে ছোট ভাই এগিয়ে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এরপর দুজনকে উদ্ধার করতে তার মা এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলে দুইজনের মৃত্যু হয়। আহতাবস্থায় নিহতদের মাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

নিহতদের বাবা হিরু ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আজকে ছুটির দিনে শ্রমিকরা কাজে আসেনি তাই মেয়ে তাঁত চালাতে গিয়েছিল। তাঁত মেশিনের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল আমরা একটুও টের পাইনি। আমার সর্বনাশ হয়ে গেল। দুই কলিজার টুকরা আমাকে ছেড়ে চলে গেল। এখন আমি একদম এতিম হয়ে গেলাম।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাওয়ারলুম তাঁত চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।