ঢাকা ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥

হবিগঞ্জ শহরের বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভে কলেজের শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হন। এক পর্যায়ে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে তারা সাম্প্রতিক আন্দোলনের নানা ¯েøাগান দিতে থাকেন। সময় বাড়ার সঙ্গে বৃন্দাবন কলেজের সামনে জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে নানা রঙের প্ল্যাকার্ড ছিল। এগুলোতে লেখা ছিল ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল’, ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘যৌবন তুমি আগুন হও, লাল পলাশের ফাগুন হও, আসছে ফাগুন অনেক দেরি, এক্ষুনি দ্বিগুণ হও।’ কর্মসূচির খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ¯েøাগানে ¯েøাগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনের শহরের ব্যস্ততম সড়কে বসে পড়েন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা প্রায় ১০০ ফুট দূরে জেলা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নেন। সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে বেলা ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শামীম ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরিয়ে সরকার এখন আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। ছয় সমন্বয়কের ভূয়া বিবৃতি দিয়ে আমাদের এ আন্দোলনকে বিভক্ত করতে চায়। আমরা তা হতে দেব না। আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকব।’ কর্মসূচি চলাকালে হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতির কিছু সদস্য ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। তারা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি সমাপ্তের অনুরোধ জানালে বেলা দেড়টার দিকে অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা এলাকা ত্যাগ করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
৩৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় ১১:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

হবিগঞ্জ শহরের বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভে কলেজের শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হন। এক পর্যায়ে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে তারা সাম্প্রতিক আন্দোলনের নানা ¯েøাগান দিতে থাকেন। সময় বাড়ার সঙ্গে বৃন্দাবন কলেজের সামনে জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে নানা রঙের প্ল্যাকার্ড ছিল। এগুলোতে লেখা ছিল ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল’, ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘যৌবন তুমি আগুন হও, লাল পলাশের ফাগুন হও, আসছে ফাগুন অনেক দেরি, এক্ষুনি দ্বিগুণ হও।’ কর্মসূচির খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ¯েøাগানে ¯েøাগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনের শহরের ব্যস্ততম সড়কে বসে পড়েন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা প্রায় ১০০ ফুট দূরে জেলা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নেন। সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে বেলা ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শামীম ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরিয়ে সরকার এখন আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। ছয় সমন্বয়কের ভূয়া বিবৃতি দিয়ে আমাদের এ আন্দোলনকে বিভক্ত করতে চায়। আমরা তা হতে দেব না। আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকব।’ কর্মসূচি চলাকালে হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতির কিছু সদস্য ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। তারা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি সমাপ্তের অনুরোধ জানালে বেলা দেড়টার দিকে অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা এলাকা ত্যাগ করেন।