প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লাখাইয়ের মৃৎ শিল্পীরা
ঘনিয়ে আসছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসবের প্রধান উপজীব্য প্রতিমা। আর এই উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের ন্যায় লাখাই উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
দেবী দূর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে আকৃতি দিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা। রাত দিন চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শিল্পী আর সহযোগীরা মিলে বানাচ্ছেন দূর্গার প্রতিমা। মাটি আর খড় পানি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব প্রতিমা। এরপর এতে দেওয়া হবে রং।
এক সেট প্রতিমার জন্য দেবী দুর্গা ও তার চার সন্তান সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে বানানো হয়ে থাকে। পাশাপাশি থাকে অসুর, সিংহ, হাঁস,প্যাঁচা ও সাপ। সরেজমিনে লাখাই উপজেলার মোড়াকরি পাল পাড়ায়, লাখাই স্বজনগ্রাম পালপাড়ায় প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। লাখাই স্বজনগ্রামে কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পী সজল পালসহ পরিবারের অন্যান্যরা।
মোড়াকরি পাল পাড়ায় নিত্যানন্দ পাল জানান, পুজার জন্য সাধারণত তিন মাস আগে থেকে কাজ শুরু করতে হয়। আমাদের প্রতিমার কাজ চলছে। বর্তমানে মাটি, রং, বাঁশের দাম বেড়ে গেছে। আগে এক সেট দূর্গা প্রতিমা তৈরি করতে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতো, এখন তা বেড়ে ৬০/৭০ হাজার টাকার বেশি হয়ে গেছে। লাখাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রনেশ গোস্বামী জানান, বুধবার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন মন্ডপে ও মন্দিরে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজারিরা যেন নির্বিঘ্নে পূজা করতে পারে সে ব্যাপারে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশও কাজ করছে।
লাখাই উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব জানান, এ বছর ৬২টি পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ১০২ জন আনসার ও ভিডিপি নিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জন পুরুষ আনসার ও ৩৮ জন নারী। তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্দেশনা পেলে আরো আনসার সদস্যের সংখ্যা বাড়তে পারে, আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা শারদীয় দুর্গাপূজায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ২ অক্টোবর মহালয়াতে চন্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। এরপর ৯ অক্টোবর বুধবার থেকে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব শুরু হবে।