ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন: ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল হবিগঞ্জ Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে চায় শিক্ষার্থীরা

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচী পালন করে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে এক দফা, এক দাবি, ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাস। ৬টি বিষয়ে পরীক্ষা। এবং স্কুলের শিক্ষকদের হাতে ৩০ শতাংশ মার্ক না রাখার পক্ষে তাদের দাবি জানায়। ৫ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে এক দফা অটোপাশের দাবিতে তারা আন্দোলন করবে বলে জানায়।

মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম জানায়, আমাদের অর্ধবাষিক পরীক্ষা গ্রæপ ভিত্তিক দিয়েছি। এখন এই পরীক্ষার সিলেবাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা একজনের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা চাই সিলেবাস শর্ট করতে এবং শিক্ষকের হাতের মার্ক কমাতে। শিক্ষকের হাতে মার্ক থাকলে আমরা পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবো না। সিলেবাস না কমালে আমাদের একদফা থাকবে। সেটা হলো অটোপাশ।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এই বছরে এক কারিকুলামে আমরা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি। এখন মধ্যখানে এসে আবার কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে আবার আরেক কারিকুলাম করা হবে। আমাদেরকে নিয়ে তারা খেলবে না-কি? আমরা কিছু বলব না।

তাবিয়া বেগম নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের বর্তমান সিলেবাস বেশ বড়। আমরা অল্প সময়ের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চাই। আমরা বলছি না যে অটোপাশ দিয়ে দিতে। নতুন এই কারিকুলামে বৃহৎ সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়া একিবারে অসম্ভব।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদ জানায়, নতুন কারিকুলামে যে শর্ট সিলেবাস দেওয়া হয়েছে এটি একটি বৃহৎ সিলেবাস। আমরা এজন্য মাঠে নেমেছি। আমাদেরকে যৌক্তিক একটি শর্ট সিলেবাস দিতে হবে।

নাবিদ হাসান নামের আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা গত ৮ মাস অন্য একটি সিলেবাসে পড়েছি। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আরেকটি সিলেবাস দেওয়া হল। আগের সিলেবাস শেষ করতে পারিনি। এখন আবার নতুন সিলেবাস, নতুন কারিকুলাম। সিলেবাসটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা ৬ মাস পড়ালেখা করে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের হাতে আছে মাত্র দুই মাস। যৌক্তিক সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টির দাবি না মানা হলে আমরা কেহ পরীক্ষায় বসবো না।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবিদ হাসান, রাহাত আহমদ, নাবিল আহসান, মুগ্ধ জামান, মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম ও তাবিয়া আক্তার সহ আরও কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৮৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে চায় শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচী পালন করে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে এক দফা, এক দাবি, ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাস। ৬টি বিষয়ে পরীক্ষা। এবং স্কুলের শিক্ষকদের হাতে ৩০ শতাংশ মার্ক না রাখার পক্ষে তাদের দাবি জানায়। ৫ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে এক দফা অটোপাশের দাবিতে তারা আন্দোলন করবে বলে জানায়।

মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম জানায়, আমাদের অর্ধবাষিক পরীক্ষা গ্রæপ ভিত্তিক দিয়েছি। এখন এই পরীক্ষার সিলেবাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা একজনের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা চাই সিলেবাস শর্ট করতে এবং শিক্ষকের হাতের মার্ক কমাতে। শিক্ষকের হাতে মার্ক থাকলে আমরা পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবো না। সিলেবাস না কমালে আমাদের একদফা থাকবে। সেটা হলো অটোপাশ।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এই বছরে এক কারিকুলামে আমরা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি। এখন মধ্যখানে এসে আবার কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে আবার আরেক কারিকুলাম করা হবে। আমাদেরকে নিয়ে তারা খেলবে না-কি? আমরা কিছু বলব না।

তাবিয়া বেগম নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের বর্তমান সিলেবাস বেশ বড়। আমরা অল্প সময়ের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চাই। আমরা বলছি না যে অটোপাশ দিয়ে দিতে। নতুন এই কারিকুলামে বৃহৎ সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়া একিবারে অসম্ভব।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদ জানায়, নতুন কারিকুলামে যে শর্ট সিলেবাস দেওয়া হয়েছে এটি একটি বৃহৎ সিলেবাস। আমরা এজন্য মাঠে নেমেছি। আমাদেরকে যৌক্তিক একটি শর্ট সিলেবাস দিতে হবে।

নাবিদ হাসান নামের আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা গত ৮ মাস অন্য একটি সিলেবাসে পড়েছি। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আরেকটি সিলেবাস দেওয়া হল। আগের সিলেবাস শেষ করতে পারিনি। এখন আবার নতুন সিলেবাস, নতুন কারিকুলাম। সিলেবাসটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা ৬ মাস পড়ালেখা করে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের হাতে আছে মাত্র দুই মাস। যৌক্তিক সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টির দাবি না মানা হলে আমরা কেহ পরীক্ষায় বসবো না।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবিদ হাসান, রাহাত আহমদ, নাবিল আহসান, মুগ্ধ জামান, মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম ও তাবিয়া আক্তার সহ আরও কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।