হবিগঞ্জের ১৫ শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকায় হবিগঞ্জ জেলার ১৫ জনের নাম যুক্ত হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া যায়। সেখানে সারাদেশে ৭০৮ শহীদের তালিকা দেওয়া আছে।
হবিগঞ্জে ১৫ শহীদের মধ্যে বানিয়াচং উপজেলার ৯ জন, লাখাইয়ে ৩ জন এবং সদর, মাধবপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলার ১ জন করে।
এর মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২ জন, গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১ জন এবং জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাকী ১২ জনের নাম তালিকায় যুক্ত হয়।
তালিকা সংশোধন বা সংযোজন করার জন্য আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য ওয়েভসাইটে উন্মুক্ত থাকবে। তালিকায় প্রকাশিত নাম ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য যাচাই, সংশোধন বা পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ বা প্রতিনিধিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শহীদের তালিকায় হবিগঞ্জের যারা বানিয়াচং ঃ ভাঙ্গার পাড়ের মোঃ ছানু মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া; জাতুকর্ণপাড়ার মোঃ আব্দুন নূরের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম; জাতুকর্ণপাড়ার আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন; পাড়াগাঁওয়ের মোঃ শমসের উল্লার ছেলে মোঃ মোজাক্কির মিয়া; পূর্বগড়ের মোঃ ধলাই মিয়ার ছেলে মোঃ সাদিকুর রহমান; কামালখানী মহল্লার মৃত মোঃ আলী হেসেনের ছেলে শেখ নয়ন হোসেন; সাগর দিঘীর পূর্বপাড়ের মৃত মোশাহিদ আখঞ্জীর ছেলে সোহেল আখঞ্জী; চানপুরের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে আকিনুর রহমান; খন্দকার মহল্লার মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আনাস মিয়া।
লাখাই ঃ তেঘরিয়া গ্রামের মৃত মোঃ সালেক মিয়ার ছেলে মামুন আহমেদ রাফসান; কামালপুরের মোঃ ছোয়াব মিয়ার ছেলে মোনায়েল আহমেদ ইমরান; মুড়িয়াউকের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে নাহিদুল ইসলাম।
নবীগঞ্জ শহরে রাজাবাদ এলাকার মৃত মজর আলীর ছেলে আজমত আলী, হবিগঞ্জ শহরে অনন্তপুর আবাসিক এলাকার রতন চন্দ্র শীলের ছেলে রিপন চন্দ্র শীল ও মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর গ্রামের মৃত শেখ লাল মিয়ার ছেলে শেখ মোঃ শফিকুল ইসলাম শহীদের তালিকায় যোগ হয়েছেন।
‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ থেকে ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
কোনো শহীদের নামÑ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকলে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ বা প্রতিনিধি উপযুক্ত প্রমাণসহ জেলা প্রশাসক বা সিভিল সার্জন বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।