ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ৪ মাসের মীমকে জলাশয়ে ফেলে হত্যা

নবীগঞ্জ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জলাশয় থেকে ৪ মাস বয়সী শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ভাবি ও ননদের ঝগড়ার জেরে শিশুটিকে তার ফুফু ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত শিশু মাহমুদা আক্তার মীম চরগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেন ও মিনারা বেগমের কন্যা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত শিশুর ফুফু পপি বেগম ও দাদি মরিয়ম বিবিকে হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করলে মরিয়ম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে মিনারা আক্তার এ দুজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, মিনারা আক্তারের সঙ্গে তার শাশুড়ি মরিয়ম বিবি ও ননদ পপি বেগমের পারিবারিক কলহ চলছিল। দুপক্ষের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত মঙ্গলবার ভোরে ননদ পপি একা ঘুমিয়ে থাকা মিনারার ৪ মাস বয়সী শিশু কন্যা মীমকে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে দেন। মিনারা তখন রান্না ঘরে। কাজ শেষে ঘরে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।

মরিয়ম বিবি আদালতকে বলেন, ভোরে আমার মেয়ে পপি ছাড়া আর কোনো লোক ঘরে ছিল না। মীমকে পুকুরে ফেলার সময় পানির শব্দ শুনেছি। এই কাজ আমার মেয়েই করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লোকমুখে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪
১০ বার পড়া হয়েছে

নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ৪ মাসের মীমকে জলাশয়ে ফেলে হত্যা

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জলাশয় থেকে ৪ মাস বয়সী শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ভাবি ও ননদের ঝগড়ার জেরে শিশুটিকে তার ফুফু ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত শিশু মাহমুদা আক্তার মীম চরগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেন ও মিনারা বেগমের কন্যা। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত শিশুর ফুফু পপি বেগম ও দাদি মরিয়ম বিবিকে হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করলে মরিয়ম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে মিনারা আক্তার এ দুজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, মিনারা আক্তারের সঙ্গে তার শাশুড়ি মরিয়ম বিবি ও ননদ পপি বেগমের পারিবারিক কলহ চলছিল। দুপক্ষের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত মঙ্গলবার ভোরে ননদ পপি একা ঘুমিয়ে থাকা মিনারার ৪ মাস বয়সী শিশু কন্যা মীমকে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে দেন। মিনারা তখন রান্না ঘরে। কাজ শেষে ঘরে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।

মরিয়ম বিবি আদালতকে বলেন, ভোরে আমার মেয়ে পপি ছাড়া আর কোনো লোক ঘরে ছিল না। মীমকে পুকুরে ফেলার সময় পানির শব্দ শুনেছি। এই কাজ আমার মেয়েই করেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লোকমুখে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা।