ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপার ফুড চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী

লাইফস্টাইল ডেস্ক

বীজজাতীয় যেকোনো খাবারই পুষ্টিকর। এসবের মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম। মিন্ট প্রজাতির পুষ্টিকর এই উদ্ভিদের বীজ শরীরে শক্তি জোগায়। স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই তাই খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে চিয়া সিড রাখেন। সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ চিয়া সিড।

পুষ্টিগুণে ভরপুর: পুষ্টিগুণের কারণে চিয়া সিডকে সুপার ফুড বলা হয়। এতে রয়েছে কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারী

ওজন কমাতে: যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য চিয়া সিড দারুণ উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলেন, চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে। সারাদিনে নিয়ম করে চিয়া সিড খেলে অনেক সময় পেট ভরা থাকে যার ফলে ঘনঘন ক্ষুধা লাগে। চিয়া সিড খেলে পুষ্টির অভাব হয় না আবার পেট ভরা থাকে তাই কোনো ঝামেলা ছাড়াই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

হার্ট ভালো রাখে: চিয়া সিডে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। কোয়েরসেটিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হার্ট ভালো রাখতে সহায়ক। ফাইবার আর ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে: সকালে কার্বোহাইড্রেট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর তা দ্রুত রক্তের সঙ্গে গ্লুকোজ আকারে মিশে যাবে। ফলে আপনার ‘সুগার স্পাইক’ (হুট করে রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া) হবে। চিয়া সিড হুট করে কার্বোহাইড্রেটকে রক্তের সঙ্গে মিশতে দেয় না। এই প্রক্রিয়াটা ধীর করে দেয়। ফলে যাঁদের টাইপ–টু ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য চিয়া সিড উপকারী।

হাড় মজবুত করে: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। এছাড়াও এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম আর ফসফরাস। এসব উপাদান হাড় মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে। হাড় সমস্যা এড়াতে নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পরেন।

যেভাবে চিয়া সিড খেতে পারেন: চিয়া সিড খাওয়া খুবই সহজ। শুধুমাত্র পানিতে ভিজিয়েও চিয়া সিড খাওয়া যায়। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন। স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। এরপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। আবার রাতে ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
২০ বার পড়া হয়েছে

সুপার ফুড চিয়া সিড স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী

আপডেট সময় ০৪:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বীজজাতীয় যেকোনো খাবারই পুষ্টিকর। এসবের মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম। মিন্ট প্রজাতির পুষ্টিকর এই উদ্ভিদের বীজ শরীরে শক্তি জোগায়। স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই তাই খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে চিয়া সিড রাখেন। সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ চিয়া সিড।

পুষ্টিগুণে ভরপুর: পুষ্টিগুণের কারণে চিয়া সিডকে সুপার ফুড বলা হয়। এতে রয়েছে কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারী

ওজন কমাতে: যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য চিয়া সিড দারুণ উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলেন, চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে। সারাদিনে নিয়ম করে চিয়া সিড খেলে অনেক সময় পেট ভরা থাকে যার ফলে ঘনঘন ক্ষুধা লাগে। চিয়া সিড খেলে পুষ্টির অভাব হয় না আবার পেট ভরা থাকে তাই কোনো ঝামেলা ছাড়াই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

হার্ট ভালো রাখে: চিয়া সিডে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। কোয়েরসেটিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হার্ট ভালো রাখতে সহায়ক। ফাইবার আর ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে: সকালে কার্বোহাইড্রেট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার পর তা দ্রুত রক্তের সঙ্গে গ্লুকোজ আকারে মিশে যাবে। ফলে আপনার ‘সুগার স্পাইক’ (হুট করে রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া) হবে। চিয়া সিড হুট করে কার্বোহাইড্রেটকে রক্তের সঙ্গে মিশতে দেয় না। এই প্রক্রিয়াটা ধীর করে দেয়। ফলে যাঁদের টাইপ–টু ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য চিয়া সিড উপকারী।

হাড় মজবুত করে: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। এছাড়াও এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম আর ফসফরাস। এসব উপাদান হাড় মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে। হাড় সমস্যা এড়াতে নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পরেন।

যেভাবে চিয়া সিড খেতে পারেন: চিয়া সিড খাওয়া খুবই সহজ। শুধুমাত্র পানিতে ভিজিয়েও চিয়া সিড খাওয়া যায়। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন। স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। এরপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। আবার রাতে ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যায়।