লাখাইয়ের বাহার উদ্দিন জৈব সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী
লাখাইয়ে প্রথম বারের মতো জৈব সার ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন এর উপাদান কেঁচো সরবরাহ করছে লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের উদ্যোক্তা কৃষক মোঃ বাহার উদ্দিন।
বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন এর জন্য প্রদর্শনী দিয়ে সহযোগিতা করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতায় কেঁচো সার উৎপাদন চালানোয় দিন দিন এটি সম্প্রসারিত হতে থাকে। প্রথম বছরের উৎপাদিত কেঁচো সার কৃষক মোঃ বাহার উদ্দিন তাঁর বোর জমি,আউশ ও রোপা আমনের চাষাবাদ প্রয়োগ করেন। এছাড়াও মৌসুমি শাকসবজি ও ফলবাগানে ব্যবহার করেন এবং এতে ভালো ফলন হওয়ায় তিনি এ কেঁচো সার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।কেঁচো সার উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কেঁচোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চলতি মৌসুমে সে কেঁচো সার ও কেঁচো বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।এ লক্ষ্যে উৎপাদিত সার ও কেঁচো সংগ্রহ করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সাথে যোগাযোগ করলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সহায়তায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মাধ্যমে নবীগঞ্জ উপজেলার ২ জন কৃষক এর নিকট ৩ হাজার ২ শত কেঁচো সরবরাহ করা হয়েছে। এ উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম।
নিজের উৎপাদিত কেঁচো সরবরাহ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত কৃষক মোঃ বাহার উদ্দিন বলেন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমি এ কেঁচো উৎপাদন ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান সহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আমি এ কেঁচো উৎপাদন বৃদ্ধি করে বড় পরিসরে জৈব সার তৈরির কাজ করে আসছি। আমি মনে করি রাসায়নিক সার এর যথেচ্ছা ব্যবহার করায় আমাদের জমির মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। তাই রাসায়নিক সার এর ব্যবহার কমিয়ে এর সাথে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হলে কেঁচো সার এর উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির করতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, লাখাইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। কৃষি উদ্যোক্তাগণ নতুন নতুন জাতের শাকসবজি ফলমূল চাষাবাদ এর পাশাপাশি মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। লাখাইয়ে কৃষিতে বানিজ্যিক চাষাবাদ বহুলাংশে বেড়ে চলছে।তিনি আরো বলেন আমাদের উদ্যমী কৃষক মোঃ বাহার উদ্দিন প্রথম বারের মতো জৈব সার উৎপাদন করে অন্যত্র কেচোঁ সরবরাহ করছে এ সংবাদ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক সভা চলাকালীন সময়ে অবগত হলে সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা সহ উপস্থিত সকলে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন।