ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে দিনমজুর গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা! Logo নবীগঞ্জে গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo হবিগঞ্জে ‘চাঁদার’ ৯০ হাজার টাকাসহ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আটক Logo চুনারুঘাটে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাইকে কুপিয়ে হত্যা Logo হবিগঞ্জে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ওসি দেলোয়ার গ্রেফতার Logo নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ দুই আসামী গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় ডাকাত আলী গ্রেফতার Logo মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ওসি সহ আহত শতাধিক Logo হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকারের

বাংলাদেশকে চাপে রেখে যা বলছেন কেমার রোচ

স্পোর্টস ডেস্ক

অ্যান্টিগাতে গতকাল চতুর্থ দিনের খেলা শেষে অনেকটাই এগিয়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের কল্যাণে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৫২ রানে অলআউট করলেও বাংলাদেশের সামনে ছিল বড় লক্ষ্য। প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকায় জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪ রান।

হাতে প্রায় দেড়দিন থাকলেও জয়ের কোনো আশা জাগাতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা, উল্টো ৭ উইকেট হারিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছে বড় হারের সামনে। চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৩১ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৯। জয়ের জন‍্য শেষ দিনে প্রয়োজন ২২৫ রান, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট।

দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসেছিলেন কেমার রোচ। তার কণ্ঠে পুরোটা সময় ছিল আত্মতৃপ্তি, ‘আমাদের বোলিং গ্রুপের প্রশংসা না করে উপায় নেই। ভেরি হাইলি স্কিলফুল বোলিং গ্রুপ। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আর বোঝাপড়া ভালো ছিল। বল হাতে ভালো একটা শুরু চাচ্ছিলাম। আমি ও জায়ডেন সেই শুরুটা করতে পেরেছি। আরও এক-দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ভালো হতো।’

অভিজ্ঞ এই পেসার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পুরো বোলিং ইউনিটকে, ‘ছেলেরা নিজেদের মেলে ধরেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে কাজটা সহজ ছিল না, প্রথম ইনিংসে অনেকক্ষণ ব্যাট করতে হয়েছে। তবে বল হাতে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ফ্যান্টাস্টিক। বোলিং গ্রুপের প্রশংসা করতে চাই। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ ছিল, দারুণ ইউনিট, এর অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি।’

৩৩৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া নিয়ে রোচ বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য যতটা সম্ভব কঠিন করে তোলা। রান রেট কম রেখে ভালো জায়গায় বল করে ব্যাটারদের চাপে রাখা। বোলাররা সেই কাজ খুব ভালোভাবে করেছে। দ্রুতই দুটি উইকেট চলে যায়, আমি একটা পাই আরেকটা জায়ডেন। এরপর আরও পাঁচটি উইকেট পড়েছে। যে এনার্জি নিয়ে ছেলেরা বল করেছে আমি খুবই খুশি। কিছু ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে যা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে। তবে বোলিং ইউনিট সুযোগ তৈরি করছে, এটাই তো চাওয়া থাকে।’

সময়টা উপভোগ করছেন রোচ, ‘আমি আমার সময়টা খুব উপভোগ করছি। উইকেট থেকে সুবিধা পাচ্ছি। মানিয়ে নেওয়ার সব ধরনের চেষ্টা করছি। ক্যারিবিয়ানের বেশিরভাগ দেশের চেয়ে এখানে বেশি মুভ করে। পেস ইউনিটের ছেলেদের সাথে সময় কাটানোটা খুবই উপভোগ্য। ড্রেসিংরুমে আমরা অনেক মজা করি। এটা একটা দারুণ ওয়ার্কিং ইউনিট। তাদের নামের পাশে অনেক উইকেট থাকবে। নিজের খেলা শেষে এসব দেখে খুব গর্বিত হবো।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
৭০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশকে চাপে রেখে যা বলছেন কেমার রোচ

আপডেট সময় ০৮:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

অ্যান্টিগাতে গতকাল চতুর্থ দিনের খেলা শেষে অনেকটাই এগিয়ে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের কল্যাণে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৫২ রানে অলআউট করলেও বাংলাদেশের সামনে ছিল বড় লক্ষ্য। প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকায় জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪ রান।

হাতে প্রায় দেড়দিন থাকলেও জয়ের কোনো আশা জাগাতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা, উল্টো ৭ উইকেট হারিয়ে তারা দাঁড়িয়ে আছে বড় হারের সামনে। চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের রান ৩১ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৯। জয়ের জন‍্য শেষ দিনে প্রয়োজন ২২৫ রান, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট।

দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসেছিলেন কেমার রোচ। তার কণ্ঠে পুরোটা সময় ছিল আত্মতৃপ্তি, ‘আমাদের বোলিং গ্রুপের প্রশংসা না করে উপায় নেই। ভেরি হাইলি স্কিলফুল বোলিং গ্রুপ। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আর বোঝাপড়া ভালো ছিল। বল হাতে ভালো একটা শুরু চাচ্ছিলাম। আমি ও জায়ডেন সেই শুরুটা করতে পেরেছি। আরও এক-দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ভালো হতো।’

অভিজ্ঞ এই পেসার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পুরো বোলিং ইউনিটকে, ‘ছেলেরা নিজেদের মেলে ধরেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে কাজটা সহজ ছিল না, প্রথম ইনিংসে অনেকক্ষণ ব্যাট করতে হয়েছে। তবে বল হাতে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ফ্যান্টাস্টিক। বোলিং গ্রুপের প্রশংসা করতে চাই। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ ছিল, দারুণ ইউনিট, এর অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি।’

৩৩৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া নিয়ে রোচ বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য যতটা সম্ভব কঠিন করে তোলা। রান রেট কম রেখে ভালো জায়গায় বল করে ব্যাটারদের চাপে রাখা। বোলাররা সেই কাজ খুব ভালোভাবে করেছে। দ্রুতই দুটি উইকেট চলে যায়, আমি একটা পাই আরেকটা জায়ডেন। এরপর আরও পাঁচটি উইকেট পড়েছে। যে এনার্জি নিয়ে ছেলেরা বল করেছে আমি খুবই খুশি। কিছু ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে যা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে। তবে বোলিং ইউনিট সুযোগ তৈরি করছে, এটাই তো চাওয়া থাকে।’

সময়টা উপভোগ করছেন রোচ, ‘আমি আমার সময়টা খুব উপভোগ করছি। উইকেট থেকে সুবিধা পাচ্ছি। মানিয়ে নেওয়ার সব ধরনের চেষ্টা করছি। ক্যারিবিয়ানের বেশিরভাগ দেশের চেয়ে এখানে বেশি মুভ করে। পেস ইউনিটের ছেলেদের সাথে সময় কাটানোটা খুবই উপভোগ্য। ড্রেসিংরুমে আমরা অনেক মজা করি। এটা একটা দারুণ ওয়ার্কিং ইউনিট। তাদের নামের পাশে অনেক উইকেট থাকবে। নিজের খেলা শেষে এসব দেখে খুব গর্বিত হবো।’