ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিদায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণতন্ত্রের নেত্রী “খালেদা জিয়া” Logo তারেক রহমানের অপেক্ষায় দেশবাসী Logo হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী Logo শায়েস্তাগঞ্জে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির হিড়িক, জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র Logo হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ Logo হাদিকে গুলি: হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি Logo শায়েস্তাগঞ্জ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo চুনারুঘাট উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাক-চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত Logo হবিগঞ্জ বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত

অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

রাজধানীর অদূরে কেরাণীগঞ্জের রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতদের জিম্মিদশা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে যৌথ বাহিনীর তৎপরতায় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) খলিলুর রহমান হাওলাদার।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংকের ভেতরে থাকা জিম্মিদের মধ্যে কেউ হতাহত হননি। অর্থ লোপাটের ঘটনাও ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডাকাতদের ব্যাংক থেকে আটক করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ওই ব্যাংকে হানা দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাংকটির আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন জন ডাকাত ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পাশের একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে ব্যাংকে ডাকাতির কথা বলা হয়।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আত্মসমর্পণে রাজি করানো হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা জানালা দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করে। একটি বন্দুক জানালা দিয়ে ফেলা হয়। বাকি অস্ত্র ব্যাগে ভরে বাইরে ফেলে দেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে একে একে ডাকাত দলের সদস্যরা বেড়িয়ে আসে। তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তিন ডাকাত সদস্যকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা চিরকূটের মাধ্যমে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়েছিল। সেই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তিন ডাকাত সদস্যেরই বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকাত সদস্যদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
১৩২ বার পড়া হয়েছে

অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত

আপডেট সময় ০৮:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর অদূরে কেরাণীগঞ্জের রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতদের জিম্মিদশা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে যৌথ বাহিনীর তৎপরতায় ডাকাত দলের তিন সদস্যকে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) খলিলুর রহমান হাওলাদার।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংকের ভেতরে থাকা জিম্মিদের মধ্যে কেউ হতাহত হননি। অর্থ লোপাটের ঘটনাও ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডাকাতদের ব্যাংক থেকে আটক করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ওই ব্যাংকে হানা দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাংকটির আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন জন ডাকাত ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পাশের একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে ব্যাংকে ডাকাতির কথা বলা হয়।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আত্মসমর্পণে রাজি করানো হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা জানালা দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করে। একটি বন্দুক জানালা দিয়ে ফেলা হয়। বাকি অস্ত্র ব্যাগে ভরে বাইরে ফেলে দেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে একে একে ডাকাত দলের সদস্যরা বেড়িয়ে আসে। তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তিন ডাকাত সদস্যকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা চিরকূটের মাধ্যমে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়েছিল। সেই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তিন ডাকাত সদস্যেরই বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকাত সদস্যদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।