লাখাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সেচ ম্যানেজারের বিরুদ্ধে পানি না দেওয়ার অভিযোগ
লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নের রুহিতনসী মৌজায় বিএডিসি’র মাধ্যমে পরিচালিত নোয়াহাটি সেচ প্রকল্পের ক্রীম ম্যানেজার ও লাখাই ১নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মহিবুর রহমান উপজেলা সেচ কমিটি থেকে প্রতিযোগিতা করে ৩৩ শতকে ১৯ কেজি ধান দরে সেচ ক্রিম টেন্ডার নিয়ে এখনো জমিতে পানি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় ২০১১ সাল হইতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কৃষকের অনুমতি ছাড়া মহিবুর রহমান কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেমত চার্জ নির্ধারণ করে আসছে।
তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারি দলের ক্ষমতা দেখাইয়া কৃষকদের মতামত না নিয়া জোর পূর্বক ক্রীম দখল করে মেশিন বসাইয়া পানি সেচ শুরু করে। তাহার ভয়ে কোন কৃষক তাহাকে জিজ্ঞাসা করার সাহস পায় না। ফসল উঠানোর সময় যখন চার্জ দেওয়ার সময় আসে তখন নিরীহ কৃষকদের কে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে কের প্রতি নিচু জমি ৬০ কেজি, উচু জমি ১২০ কেজি, ঐ স্ক্রীমের কিছু কিছু নিচু জমি আছে যাহা বৃষ্টির পানিতেই কৃষকরা ফলস ফলায়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ ক্রীম ম্যানেজার তাহাদেরকে রেহাই দেয়নি এবং তাহাদের কাছ থেকে কের প্রতি ৬০ কেজি ধান চার্জ হিসাবে আদায় করে। কৃষকগণ অপারগতা প্রকাশ করিলে তাহাদের কে গালিগালাজ করে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক চার্জ আদায় করে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে মোঃ আলামিন মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেচ কমিটির বরাবরে আবেদন করলে মহিবুল রহমান ৫৫ কেজি দর দেয় আলামিন মিয়া ৪০ কেজি দরে দরখস্ত দিলে, বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী, হবিগঞ্জ জোন, এ. এম. রাকিবুল হক যোগসাজশে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরবর্তী লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পুনরায় আবার দর পত্র দিয়ে দর দিলে সরাসরি দর দিয়ে সেচ দর দেয়।
প্রকল্পের সদস্য সচিব বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী, হবিগঞ্জ জোন, এ. এম. রাকিবুল হক বলেন আবেদনকারী দুটির আবেদন ফরম যাচাই বাচাই গত ২ ডিসেন্বর ২০২৪ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি গোপন রেটের এর মাধ্যমে আলামিন প্রতি ৩৩ শতকে ৩৫ কেজি ধান সেচচার্জ ধার্য করে এবং মো: মহিবুর রহমান প্রতি ৩৩ শতকে ১৯ কেজি ধান সেচচার্জ ধার্য করে। সভার সদস্যগণ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিস্তারিত আলোচনা শেষে আলামিন ও মো: মুহিবুর রহমান এর মধ্যে যার সেচচার্জ এর রেট কম থাকে উক্ত সেচ ম্যানেজার নিয়োগ পায়। এতে সাধারণ কৃষকগণ উপকৃত হবে।
এ ব্যাপারে আলামিন মিয়া জানান আমি আবেদন করার পর থেকে প্রতিনিয়ত আমাকে মহিবুর রহমান হুমকি দিয়ে আসছে যেকোন সময় আমাকে হাত পা ভেঙ্গে ফেলবে। জমিতে পানি দিচ্ছে না এখন দর বেশী জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন মহিবুর রহমানের লোকজন বলে আমরা কৃষকগন গিয়ে তার নিকট বলে ধান ৫৫ কেজি দরে দিলে জমিতে পানি দেওয়ার জন্য ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা সুলতানা বলেন আমরা কোন সেচ ক্রিমের কোন কৃষক যদি লেখিত অভিযোগ দেয় আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।