এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তির আওতায় মার্কিন ওই কোম্পানি থেকে বাংলাদেশ বছরে ৫ মিলিয়ন টন (৫০ লাখ টন) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি এটি। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কোম্পানিটির এক বিবৃতির বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এছাড়া ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জাতীয় প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবোশত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জাতীয় প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বড় মার্কিন এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। উভয়পক্ষের মতে, এটি নতুন প্রশাসনের জ্বালানি খাতে সহায়ক নীতির প্রতি শিল্পের আস্থার প্রতিফলন।
ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প কার্যকরী আদেশের মাধ্যমে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এলএনজি রপ্তানি লাইসেন্স স্থগিতাদেশ বাতিল করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করছে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এ ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আর্জেন্ট এলএনজি বছরে আড়াই কোটি টন এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতার একটি অবকাঠামো গড়ে তুলছে লুইজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চুক্তি অনুসারে সেখান থেকে পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি বিক্রি করতে পারবে।
চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে জানান, এই চুক্তি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প ভিত্তির জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।
যদি লুইসিয়ানার পোর্ট ফোরশনে আর্জেন্ট এলএনজির প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তবে এর কার্গোগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলায় সরবরাহ করা হতে পারে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সমস্যার সমাধান খুঁজছে এবং এলএনজির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে দেশটি মূল্যের প্রতি সংবেদনশীল। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সস্তা কয়লা ব্যবহার পুনরায় শুরু করেছিল।