ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জের সাতছড়ি গাছ চুরির অভিযোগে বন বিভাগের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু Logo শায়েস্তাগঞ্জে ৩ হাজার কেজি ভারতীয় জিরাসহ আটক ২ Logo শায়েস্তাগঞ্জ সুতাং নদী থেকে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে Logo নেচে-গেয়ে সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তুলে ধরল চা শ্রমিকেরা Logo মাধবপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২ জনকে জরিমানা Logo মাধবপুরে ‘নিশান’র নির্বাহী পরিচালকসহ গ্রেফতার ২ Logo হবিগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকট চরমে Logo শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় নাজমুল হোসেনকে সংবর্ধনা Logo হবিগঞ্জে ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

আমার নাম শুনে কন্ট্রাক্ট কিলিং থেকে সরে আসে একজন: ব্যারিস্টার সুমন

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) ‘হত্যার পরিকল্পনা’ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যার পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সংসদ সদস্য সায়েদুল হক। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি দাবি করেন, চুনারুঘাট থানার ওসির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, তাকে হত্যা করার জন্য চার থেকে পাঁচজনের অজ্ঞাতনামা একটি দল মাঠে নেমেছে। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু ‘পরিকল্পনা ফাঁসের’ চার দিন পার হলেও রহস্যের জট এখনো খোলেনি।

এমন পরিস্থিতিতে আরও অনেকবার পড়েছেন উল্লেখ করে মঙ্গলবার সংসদ সদস্য সায়েদুল হক বলেন, ‘এবার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ, আমার থানার ওসি এসে যখন আমাকে এ ঘটনাটি জানান এবং এ তথ্য প্রদানকারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন, তখনই আমি ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।’

ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, গত ২৮ জুন রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে তাঁর কাছে ব্যারিস্টার সুমনের ফোন নম্বর চান। তখন ওসি ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চান, কেন তাঁর নম্বর প্রয়োজন? উত্তরে ওই ব্যক্তি জানান, ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে জরুরি কথা বলতে চান তিনি। এ ফোন নম্বর না দিলে আত্মহত্যা করবেন। ওসি সংসদ সদস্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ফোন নম্বরটি দেননি। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা পাঠান এবং পরে তা ডিলিট করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর আবারও একটি খুদে বার্তা পাঠান ওই ব্যক্তি। তাতে লেখা ছিল, ব্যারিস্টার সুমনের কিছু শত্রু আছে, যারা তাঁর ক্ষতি করতে পারে। এটিও পরে ডিলিট করে দেওয়া হয়।

ওসি হিল্লোল রায় বলেন, এ বার্তা পেয়ে তিনি কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। তিনি এর পরদিন (২৯ জুন) সংসদ সদস্যের চুনারুঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে বিষয়টি তাকে জানান। তখন ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন নম্বরটি দেওয়া হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট কথা বলেন।

ওই কথোপকথনের বিষয়ে সংসদ সদস্য সায়েদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে কথা বলে জানায়, কন্ট্রাক্ট কিলারদের কিছু সদস্য আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। এর পেছনে দেশের বড় বড় কিছু লোক জড়িত। এ কন্ট্রাক্ট কিলারদের মধ্যে ওই ব্যক্তিটিও ছিল। যখন সে আমার নাম শুনতে পায়, তখনই সে এ কন্ট্রাক্ট কিলিং থেকে সরে আসে। কারণ, ওই ব্যক্তি আমাকে পছন্দ করে ও আমার একজন ভক্ত। পাশাপাশি সে একজন সিলেটি। সে সিলেটি দরদি হয়েই এ গোপনীয়তা আমাকে জানাতেই ওসির কাছে ফোন নম্বরটি চেয়েছিল।’

সায়েদুল হক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার। দুর্নীতিবাজদের নিয়ে সংসদো আমি কথা বলেছি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সামনেও কথা বলেছি। এখন কারা আমার এ কাজের ওপর ক্ষুব্ধ, এ বিষয়টি আমার পক্ষে চিহ্নিত করা কঠিন। আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে আমি জিডি করেছেন। এখন পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব এ ঘটনার গভীরতা ও এর রহস্য উদ্‌ঘাটনের ব্যবস্থা নেওয়া।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
১১০ বার পড়া হয়েছে

আমার নাম শুনে কন্ট্রাক্ট কিলিং থেকে সরে আসে একজন: ব্যারিস্টার সুমন

আপডেট সময় ০৭:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) ‘হত্যার পরিকল্পনা’ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যার পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সংসদ সদস্য সায়েদুল হক। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি দাবি করেন, চুনারুঘাট থানার ওসির কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, তাকে হত্যা করার জন্য চার থেকে পাঁচজনের অজ্ঞাতনামা একটি দল মাঠে নেমেছে। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু ‘পরিকল্পনা ফাঁসের’ চার দিন পার হলেও রহস্যের জট এখনো খোলেনি।

এমন পরিস্থিতিতে আরও অনেকবার পড়েছেন উল্লেখ করে মঙ্গলবার সংসদ সদস্য সায়েদুল হক বলেন, ‘এবার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ, আমার থানার ওসি এসে যখন আমাকে এ ঘটনাটি জানান এবং এ তথ্য প্রদানকারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন, তখনই আমি ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।’

ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, গত ২৮ জুন রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে তাঁর কাছে ব্যারিস্টার সুমনের ফোন নম্বর চান। তখন ওসি ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চান, কেন তাঁর নম্বর প্রয়োজন? উত্তরে ওই ব্যক্তি জানান, ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে জরুরি কথা বলতে চান তিনি। এ ফোন নম্বর না দিলে আত্মহত্যা করবেন। ওসি সংসদ সদস্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ওই ব্যক্তিকে ফোন নম্বরটি দেননি। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে একটি খুদে বার্তা পাঠান এবং পরে তা ডিলিট করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর আবারও একটি খুদে বার্তা পাঠান ওই ব্যক্তি। তাতে লেখা ছিল, ব্যারিস্টার সুমনের কিছু শত্রু আছে, যারা তাঁর ক্ষতি করতে পারে। এটিও পরে ডিলিট করে দেওয়া হয়।

ওসি হিল্লোল রায় বলেন, এ বার্তা পেয়ে তিনি কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। তিনি এর পরদিন (২৯ জুন) সংসদ সদস্যের চুনারুঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে বিষয়টি তাকে জানান। তখন ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন নম্বরটি দেওয়া হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট কথা বলেন।

ওই কথোপকথনের বিষয়ে সংসদ সদস্য সায়েদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমার সঙ্গে কথা বলে জানায়, কন্ট্রাক্ট কিলারদের কিছু সদস্য আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। এর পেছনে দেশের বড় বড় কিছু লোক জড়িত। এ কন্ট্রাক্ট কিলারদের মধ্যে ওই ব্যক্তিটিও ছিল। যখন সে আমার নাম শুনতে পায়, তখনই সে এ কন্ট্রাক্ট কিলিং থেকে সরে আসে। কারণ, ওই ব্যক্তি আমাকে পছন্দ করে ও আমার একজন ভক্ত। পাশাপাশি সে একজন সিলেটি। সে সিলেটি দরদি হয়েই এ গোপনীয়তা আমাকে জানাতেই ওসির কাছে ফোন নম্বরটি চেয়েছিল।’

সায়েদুল হক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার। দুর্নীতিবাজদের নিয়ে সংসদো আমি কথা বলেছি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সামনেও কথা বলেছি। এখন কারা আমার এ কাজের ওপর ক্ষুব্ধ, এ বিষয়টি আমার পক্ষে চিহ্নিত করা কঠিন। আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে আমি জিডি করেছেন। এখন পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব এ ঘটনার গভীরতা ও এর রহস্য উদ্‌ঘাটনের ব্যবস্থা নেওয়া।