ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় সুবর্ণভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ে Logo হবিগঞ্জের সাতছড়ি গাছ চুরির অভিযোগে বন বিভাগের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু Logo শায়েস্তাগঞ্জে ৩ হাজার কেজি ভারতীয় জিরাসহ আটক ২ Logo শায়েস্তাগঞ্জ সুতাং নদী থেকে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে Logo নেচে-গেয়ে সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য তুলে ধরল চা শ্রমিকেরা Logo মাধবপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২ জনকে জরিমানা Logo মাধবপুরে ‘নিশান’র নির্বাহী পরিচালকসহ গ্রেফতার ২ Logo হবিগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকট চরমে Logo শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় নাজমুল হোসেনকে সংবর্ধনা

ঔষধিগুণে ভরপুর লটকন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

লটকন ফলটি বর্তমানে বেশ পরিচিত সবার কাছে। এটি মূলত বর্ষাকালীন ফল। লটকন আমাদের দেশীয় ও হলুদ রঙের ছোট্ট গোলাকার ফল। টক-মিষ্টি ফল লটকন খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। তবে স্বাদে টক-মিষ্টি রসালো এই ফলটি ছোট হলেও এটি পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। লটকন গাছ দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিক চাষ হয়। ক্যালরি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল লটকন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক লটকনের স্বাস্থ্য গুণাগুণগুলো—

লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এই ফলে চর্বি অত্যন্ত কম থাকায় ও কোনো শর্করা নেই বিধায় সব বয়সের মানুষ নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

পরিপক্ব লটকনের প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে আছে ১.৪২ গ্রাম আমিষ, ০.৪৫ গ্রাম চর্বি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ০.৩ গ্রাম লৌহ এবং ৯১ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি।

লটকনে রয়েছে ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ এবং ০.১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২। সাধারণত লটকনকে ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল বলা হয়ে থাকে। ভিটামিন বি২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বেরিবেরি রোগ থেকে দূরে রাখে লটকন।

রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী লটকন। কারণ এতে থাকে আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় যা আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

লটকনের যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি তার ঔষধিগুণও রয়েছে। লটকন মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।

লটকন টক মিষ্টি ফল, তাই এই ফল খেলে আমাদের মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং খাবারের রুচি বাড়ে।

লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের ব্যথা ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।

লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
১১৩ বার পড়া হয়েছে

ঔষধিগুণে ভরপুর লটকন

আপডেট সময় ০৮:২৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

লটকন ফলটি বর্তমানে বেশ পরিচিত সবার কাছে। এটি মূলত বর্ষাকালীন ফল। লটকন আমাদের দেশীয় ও হলুদ রঙের ছোট্ট গোলাকার ফল। টক-মিষ্টি ফল লটকন খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। তবে স্বাদে টক-মিষ্টি রসালো এই ফলটি ছোট হলেও এটি পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়। লটকন গাছ দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বাণিজ্যিক চাষ হয়। ক্যালরি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল লটকন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক লটকনের স্বাস্থ্য গুণাগুণগুলো—

লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ আছে। ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এই ফলে চর্বি অত্যন্ত কম থাকায় ও কোনো শর্করা নেই বিধায় সব বয়সের মানুষ নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

পরিপক্ব লটকনের প্রতি ১০০ গ্রাম শাঁসে আছে ১.৪২ গ্রাম আমিষ, ০.৪৫ গ্রাম চর্বি, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ০.৩ গ্রাম লৌহ এবং ৯১ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি।

লটকনে রয়েছে ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ এবং ০.১৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২। সাধারণত লটকনকে ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল বলা হয়ে থাকে। ভিটামিন বি২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বেরিবেরি রোগ থেকে দূরে রাখে লটকন।

রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী লটকন। কারণ এতে থাকে আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় যা আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

লটকনের যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি তার ঔষধিগুণও রয়েছে। লটকন মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।

লটকন টক মিষ্টি ফল, তাই এই ফল খেলে আমাদের মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং খাবারের রুচি বাড়ে।

লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের ব্যথা ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।

প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ।

লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি’। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। ফলে পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ।

লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।