ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন Logo হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস Logo নবীগঞ্জে পিতার দায়ের কোপে মেয়ে খুন,ঘাতক পিতা আটক। Logo হবিগঞ্জে বাস উল্টে যুবকের মৃত্যু, আহত ৫০ Logo তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত Logo শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুরে ২২০ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ ॥ চালক ও হেলপার আটক

ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়াতে ২০০ হাতি মারবে জিম্বাবুয়ে সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জিম্বাবুয়েতে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের যোগানের জন্য ২০০ হাতি হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ১৯৮৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এভাবে হাতি মারার পরিকল্পনা করছে দেশটি।

চার দশকের মধ্যে তীব্র খরার মুখোমুখি হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো। পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। চলতি মাসের শুরুতে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের যোগান দিতে হাতি, জলহস্তি, জেব্রাসহ ৭শ’র বেশি প্রাণী মারার ঘোষণা দেয় নামিবিয়া। এবার একই রকম সিদ্ধান্তে পা বাড়িয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ জিম্বাবুয়ে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ জানায়, খরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান দেয়ার জন্য ২০০টি হাতি মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মানুষকে খাওয়ানোর জন্য ১৯৮৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নিলো জিম্বাবুয়ে।

দেশটিতে মোট হাতির সংখ্যা ৮৪ হাজার। কিন্তু হাতি ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার। বিশ্বে হাতির সর্বোচ্চ সংখ্যার দিক দিয়ে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, হাতিগুলোকে মারার মাধ্যমে দেশটির বনগুলোতে হাতির সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

খরার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না কৃষকরা। যার কারণে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। জাতিসংঘের হিসাব মতে, জিম্বাবুয়ের প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি দেশ জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়াজুড়ে বিস্তৃত একটি সংরক্ষণ এলাকায় ২ লাখেরও বেশি হাতি রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০১ বার পড়া হয়েছে

ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়াতে ২০০ হাতি মারবে জিম্বাবুয়ে সরকার

আপডেট সময় ০৮:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিম্বাবুয়েতে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের যোগানের জন্য ২০০ হাতি হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ১৯৮৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এভাবে হাতি মারার পরিকল্পনা করছে দেশটি।

চার দশকের মধ্যে তীব্র খরার মুখোমুখি হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো। পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। চলতি মাসের শুরুতে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের যোগান দিতে হাতি, জলহস্তি, জেব্রাসহ ৭শ’র বেশি প্রাণী মারার ঘোষণা দেয় নামিবিয়া। এবার একই রকম সিদ্ধান্তে পা বাড়িয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ জিম্বাবুয়ে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ জানায়, খরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান দেয়ার জন্য ২০০টি হাতি মারার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মানুষকে খাওয়ানোর জন্য ১৯৮৭ সালের পর প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নিলো জিম্বাবুয়ে।

দেশটিতে মোট হাতির সংখ্যা ৮৪ হাজার। কিন্তু হাতি ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার। বিশ্বে হাতির সর্বোচ্চ সংখ্যার দিক দিয়ে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, হাতিগুলোকে মারার মাধ্যমে দেশটির বনগুলোতে হাতির সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

খরার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না কৃষকরা। যার কারণে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। জাতিসংঘের হিসাব মতে, জিম্বাবুয়ের প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি দেশ জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়াজুড়ে বিস্তৃত একটি সংরক্ষণ এলাকায় ২ লাখেরও বেশি হাতি রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।