ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

নবীগঞ্জে স্কুল ছাত্রী অপহরণ ॥ থানায় জিডি ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি ছাত্রী

মোঃ সাগর আহমেদ নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি

নবীগঞ্জে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ করেছেন ছাত্রী মা শুলন রানী পুরকায়স্থ ও তার পরিবার। অপহরণ করেছেন আনন্দ নিকেতনের নৃত্যের শিক্ষক দাবীদার নেপাল ঘোষ ও তার ভাগনা দূর্জয় রায় লাড্ডু। এ ব্যাপারে ওই স্কুল ছাত্রীর মা শুলন রানী পুরকায়স্থ নবীগঞ্জ থানায় একটি হারানো জিডি নং ১৫০৫, তারিখ ২৯/০৪/২০২৫ইং দায়ের করেছেন। থানায় জিডির ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ওই স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা দূর্জয় রায় লাড্ডু নামের এক যুবক তার ফেসবুক আইডিতে ওই স্কুল ছাত্রীর ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে ভাইরাল করে। খোজঁ নিয়ে জানাযায়, নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দ নিকেতন এর নৃত্যের শিক্ষক দাবীদার শহরের ওসমানী রোডের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা নেপাল ঘোষ এর ভাগনা উক্ত দূর্জয় রায়। দীর্ঘদিন ধরে নেপাল ঘোষের কাছেই নবীগঞ্জে বসবাস করতো দূর্জয়। গত ২৮ এপ্রিল সকালে উপজেলার দত্তগ্রামের রবীন্দ্র দাশের ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী মমো রানী দাশ (১৬) নবীগঞ্জ শেরপুর রোডস্থ ধানসিড়িঁ বাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে উক্ত নেপাল ঘোষ ও তার ভাগনা দূর্জয় রায় লাড্ডু ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা শুলন রানী পুরকায়স্থ নবীগঞ্জ থানায় একটি হারানো জিডি করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ নেপাল ঘোষ’কে থানায় ডেকে এনে স্কুল ছাত্রী মমো রানী দাশকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু নেপাল ঘোষ তার কোন তোয়াক্কা না করে নিজেকে আনন্দ নিকেতনের নৃত্য শিক্ষক দাবী করে বুক ফুলিয়ে ঘুরাফেরা করছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দূর্জয় রায় লিখেন “আমি মমোর জামাই”। বিভিন্ন ছবিও আপলোড করেন তার নিজস্ব আইডি ফেসবুকে। এতে বুঝা যায়, উক্ত দূর্জয় রায় ও নেপাল ঘোষের জিম্মায়ই রয়েছে উক্ত স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পরিবার আতংকে রয়েছে। ওই ছাত্রীর অনাগত ভবিষ্যত নিয়েও শংকিত তার পরিবার। পরিবারের দাবী নেপাল ঘোষ’কে আটক করলেই ওই স্কুল ছাত্রীর সন্ধ্যান পাওয়া যাবে। এদিকে আনন্দ নিকেতনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বখত চৌধুরী বলেন, নেপাল ঘোষ তাদের নিকেতনের কেউ নয়। সে মাঝে মধ্যে তাদের শিক্ষক প্রবীর শীলের সাথে নিকেতনে আসতো। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’মাস ধরে তাকে নিকেতনে আসতে নিষেধ দেয়ায় আর আসেনি। নেপাল ঘোষ বলেন, তার ভাগনা দূর্জয় রায়ের সাথে রয়েছে মমো রানী দাশ। তবে সে জড়িত নয়। মমো রানী দাশের মা শুলন রানী পুরকায়স্থ বলেন, আমার স্কুল পড়–য়া কম বয়সী মেয়ে’কে উক্ত নেপাল ও তার ভাগনা দূর্জয় অপহরণ করেছে। তারা আমার মেয়ে’কে মেরে ফেলতে পারে। তিনি তার মেয়েকে দ্রুত উদ্ধারের দাবী জানান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
৮৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

নবীগঞ্জে স্কুল ছাত্রী অপহরণ ॥ থানায় জিডি ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি ছাত্রী

আপডেট সময় ১১:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

নবীগঞ্জে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ করেছেন ছাত্রী মা শুলন রানী পুরকায়স্থ ও তার পরিবার। অপহরণ করেছেন আনন্দ নিকেতনের নৃত্যের শিক্ষক দাবীদার নেপাল ঘোষ ও তার ভাগনা দূর্জয় রায় লাড্ডু। এ ব্যাপারে ওই স্কুল ছাত্রীর মা শুলন রানী পুরকায়স্থ নবীগঞ্জ থানায় একটি হারানো জিডি নং ১৫০৫, তারিখ ২৯/০৪/২০২৫ইং দায়ের করেছেন। থানায় জিডির ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ওই স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা দূর্জয় রায় লাড্ডু নামের এক যুবক তার ফেসবুক আইডিতে ওই স্কুল ছাত্রীর ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে ভাইরাল করে। খোজঁ নিয়ে জানাযায়, নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দ নিকেতন এর নৃত্যের শিক্ষক দাবীদার শহরের ওসমানী রোডের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা নেপাল ঘোষ এর ভাগনা উক্ত দূর্জয় রায়। দীর্ঘদিন ধরে নেপাল ঘোষের কাছেই নবীগঞ্জে বসবাস করতো দূর্জয়। গত ২৮ এপ্রিল সকালে উপজেলার দত্তগ্রামের রবীন্দ্র দাশের ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী মমো রানী দাশ (১৬) নবীগঞ্জ শেরপুর রোডস্থ ধানসিড়িঁ বাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে উক্ত নেপাল ঘোষ ও তার ভাগনা দূর্জয় রায় লাড্ডু ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা শুলন রানী পুরকায়স্থ নবীগঞ্জ থানায় একটি হারানো জিডি করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ নেপাল ঘোষ’কে থানায় ডেকে এনে স্কুল ছাত্রী মমো রানী দাশকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু নেপাল ঘোষ তার কোন তোয়াক্কা না করে নিজেকে আনন্দ নিকেতনের নৃত্য শিক্ষক দাবী করে বুক ফুলিয়ে ঘুরাফেরা করছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দূর্জয় রায় লিখেন “আমি মমোর জামাই”। বিভিন্ন ছবিও আপলোড করেন তার নিজস্ব আইডি ফেসবুকে। এতে বুঝা যায়, উক্ত দূর্জয় রায় ও নেপাল ঘোষের জিম্মায়ই রয়েছে উক্ত স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পরিবার আতংকে রয়েছে। ওই ছাত্রীর অনাগত ভবিষ্যত নিয়েও শংকিত তার পরিবার। পরিবারের দাবী নেপাল ঘোষ’কে আটক করলেই ওই স্কুল ছাত্রীর সন্ধ্যান পাওয়া যাবে। এদিকে আনন্দ নিকেতনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বখত চৌধুরী বলেন, নেপাল ঘোষ তাদের নিকেতনের কেউ নয়। সে মাঝে মধ্যে তাদের শিক্ষক প্রবীর শীলের সাথে নিকেতনে আসতো। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’মাস ধরে তাকে নিকেতনে আসতে নিষেধ দেয়ায় আর আসেনি। নেপাল ঘোষ বলেন, তার ভাগনা দূর্জয় রায়ের সাথে রয়েছে মমো রানী দাশ। তবে সে জড়িত নয়। মমো রানী দাশের মা শুলন রানী পুরকায়স্থ বলেন, আমার স্কুল পড়–য়া কম বয়সী মেয়ে’কে উক্ত নেপাল ও তার ভাগনা দূর্জয় অপহরণ করেছে। তারা আমার মেয়ে’কে মেরে ফেলতে পারে। তিনি তার মেয়েকে দ্রুত উদ্ধারের দাবী জানান।