ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংককের একটি হোটেলে মিলল ৬ পর্যটকের মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত ইরায়ান হোটেলে ছয় পর্যটকের মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) থাই পুলিশের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতরা সবাই ভিয়েতনামের নাগরিক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাদের। এদিকে যারা মারা গেছেন, তারা সবাই জন্মসূত্রে ভিয়েতনামের। যার ভিতর চারজন ভিয়েতনামের নাগরিক, দুজন ভিয়েতনামের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। পাঁচটি মরদেহ ঘরের ভেতর পাওয়া যায়। একটি ছিল ঘরের বাইরে।

পুলিশ জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ধস্তাধস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রত্যেকের দেহে বিষ পাওয়া গেছে।

পুলিশ আরও জানায়, হোটেলের কর্মীদের কাছ থেকে ফোনকল পাওয়ার পরেই তারা ঘটনাস্থলে যান এবং মরদেহ পান।

যারা মারা গেছেন, সবারই মঙ্গলবার চেক আউট করার কথা ছিল, এবং তাদের ব্যাগ গোছানো ছিল। ঘরে খাবারও মিলেছে। রুম সার্ভিসে ফোন করে ওই খাবার আনানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু খাবার খাওয়া হয়নি।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। বিষ দিয়ে ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে। ওই দলের সঙ্গে আরও এক সদস্য যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

গ্র্যান্ড হায়াত থাইল্যান্ডের একটি বিখ্যাত হোটেল। বহু পর্যটক এই হোটেলে ওঠেন। এ ঘটনার প্রভাব যাতে পর্যটনে না পড়ে, তার দিকে কড়া দৃষ্টি রেখেছে থাই সরকার। প্রধানমন্ত্রী সব এজেন্সিকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

দুই কোটি ৮০ লাখ বিদেশি পর্যটক গত বছর থাইল্যান্ডে বেড়াতে যান। সব মিলিয়ে তারা কয়েক ট্রিলিয়ন বাট (থাই মুদ্রা) খরচ করেন।

পর্যটন থাইল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এ ঘটনা সে ব্যবসায় যেন প্রভাব না ফেলে, তা নিয়ে সতর্ক থাই সরকার

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
৩৮ বার পড়া হয়েছে

ব্যাংককের একটি হোটেলে মিলল ৬ পর্যটকের মরদেহ

আপডেট সময় ০৭:৫১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের গ্র্যান্ড হায়াত ইরায়ান হোটেলে ছয় পর্যটকের মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) থাই পুলিশের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতরা সবাই ভিয়েতনামের নাগরিক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাদের। এদিকে যারা মারা গেছেন, তারা সবাই জন্মসূত্রে ভিয়েতনামের। যার ভিতর চারজন ভিয়েতনামের নাগরিক, দুজন ভিয়েতনামের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। পাঁচটি মরদেহ ঘরের ভেতর পাওয়া যায়। একটি ছিল ঘরের বাইরে।

পুলিশ জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ধস্তাধস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে প্রত্যেকের দেহে বিষ পাওয়া গেছে।

পুলিশ আরও জানায়, হোটেলের কর্মীদের কাছ থেকে ফোনকল পাওয়ার পরেই তারা ঘটনাস্থলে যান এবং মরদেহ পান।

যারা মারা গেছেন, সবারই মঙ্গলবার চেক আউট করার কথা ছিল, এবং তাদের ব্যাগ গোছানো ছিল। ঘরে খাবারও মিলেছে। রুম সার্ভিসে ফোন করে ওই খাবার আনানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু খাবার খাওয়া হয়নি।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। বিষ দিয়ে ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে। ওই দলের সঙ্গে আরও এক সদস্য যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

গ্র্যান্ড হায়াত থাইল্যান্ডের একটি বিখ্যাত হোটেল। বহু পর্যটক এই হোটেলে ওঠেন। এ ঘটনার প্রভাব যাতে পর্যটনে না পড়ে, তার দিকে কড়া দৃষ্টি রেখেছে থাই সরকার। প্রধানমন্ত্রী সব এজেন্সিকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

দুই কোটি ৮০ লাখ বিদেশি পর্যটক গত বছর থাইল্যান্ডে বেড়াতে যান। সব মিলিয়ে তারা কয়েক ট্রিলিয়ন বাট (থাই মুদ্রা) খরচ করেন।

পর্যটন থাইল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। এ ঘটনা সে ব্যবসায় যেন প্রভাব না ফেলে, তা নিয়ে সতর্ক থাই সরকার